কক্সবাজারের চকরিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলমসহ ৩৩৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত ৪০০ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। গত শনিবার রাতে চকরিয়া থানায় দায়ের করা দুটি মামলার মধ্যে একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও অন্যটি হত্যাচেষ্টাসহ বিভিন্ন অভিযোগে। চকরিয়া থানার ওসি মনজুর কাদের ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মধ্যে গত ৩ নভেম্বর মাতামুহুরী নদীর সেতুর ওপর একটি টমটম (ইজিবাইক) পুড়ে যায়। এই গাড়ি পোড়ানো পরিকল্পিত ও নাশকতার লক্ষ্যে অভিযোগ তুলে লক্ষ্যারচরের চর পাড়ার আবদুল মতলবের ছেলে জসীম উদ্দিন বাদি হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা মামলায় কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় একাধিক ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগসহ দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৫৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষের মারধরে আহত তৎকালিন পৌরসভার মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারকে হাসপাতালে দেখতে যান বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমদের সহধর্মিণী সংসদ সদস্য প্রার্থী হাসিনা আহমেদ। ওই সময় প্রতিপক্ষরা ঘেরাও করে হামলা, লুটপাট ও হত্যাচেষ্টা চালায়। ওই ঘটনায় গত শনিবার (৯নভেম্ব) দিবাগত রাতে চকরিয়া পৌরসভার কাজীর পাড়ার আবুল ফজলের ছেলে নাজিম উদ্দিন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম, চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছাসহ বেশ কয়েকজন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ২০০ জনকে অভিযুক্ত দেখানো হয়েছে। একই রাতে চকরিয়া থানায় করা পৃথক দুটি মামলায় ৩৩৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরো ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই নিয়ে ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর চকরিয়ায় সাবেক এমপি জাফরের বিরুদ্ধে ১২টি মামলা হয়েছে।