রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা দায়রা জজ আদালতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত সদস্য, পিপি, এপিপির অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে রাঙামাটি জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন। গতকাল জেলা পরিষদের প্রধান গেইট বন্ধ করে দিয়ে তারা ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে তারা কর্মসূচি স্থগিত করেন। অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান কাজল তালুকদারের গাড়ি কার্যালয়ের গেটে আসলে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। পরে চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার গাড়ি থেকে নেমে পায়ে হেঁটে অফিস কক্ষে চলে যান। কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের রাকিব হাসান ও মোস্তফা রাজুসহ আরো অনেকে। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতারা বলেন, আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে জড়িত, বিগত সরকারের সময় সুবিধাপ্রাপ্ত ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের আন্দোলনের বিরোধিতা করা লোকজনকে সদ্য গঠিত জেলা পরিষদে ও জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের এসব পদে বসানো মানে ছাত্র আন্দোলনের শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা। তারা বলেন, জেলা পরিষদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের মতামত নেয়া হয়নি। পার্বত্য উপদেষ্টার এহেন বৈষম্যমূলক আচরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠন মেনে নেবে না। তারা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও জেলা দায়রা জজ আদালতে নিয়োগ পাওয়া বিতর্কিত ব্যক্তিদের দ্রুত সময়ে অপসারণের দাবি জানান। এ সময় রাঙামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইফুল ইসলাম পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্র সংগঠনের নেতাদের বৈঠক করে দেয়ার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করেন।