চরাঞ্চলে পণ্য পরিবহনে একমাত্র ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আজাহার আলী, বগুড়া

বগুড়ার সারিয়াকান্দি চরাঞ্চলগুলোতে একমাত্র পরিবহন ঘোড়ার গাড়ি। সারিয়াকান্দিতে এঁকেবেঁকে চলা নদ-নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চলের মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী, কৃষিপণ্যে, যাতায়াত এবং অসুস্থ রোগীকে আনা-নেয়া করা হচ্ছে ঘোড়ার গাড়িতে। এক সময় বালুকাময় চরাঞ্চলগুলোতে পরিবহনে গরু বা মহিষের গাড়ি ব্যবহার করা হতো।

সেই চিত্র কালের পরিক্রমায় বদলে যেতে শুরু করেছে। চরাঞ্চলের রাস্তাঘাটগুলো তেমন উন্নত না হওয়ায় এখানে যান্ত্রিক গাড়ি চলে না তাই চরবাসীকে নানা সময় পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। উপজেলার চালুয়াবাড়ী, কর্ণিবাড়ী, কাজলা, চন্দনবাইশা, বোহাইল ইউনিয়ন যমুনা নদীবেষ্টিত চর এলাকায় রাস্তাঘাট না থাকায় অধিকাংশ ঘোড়ার গাড়িচালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই ছুটে বেড়াচ্ছেন এ চর থেকে ও চরে। জানা যায়, চরাঞ্চলে যান্ত্রিক যানবাহন না থাকায় আগের দিনের মানুষ প্রচণ্ড গরমে উত্তপ্ত বালুতে পায়ে হেঁটে অনেক পথ পাড়ি দিত এবং নিজেদের উৎপাদিত পণ্যগুলো মাথায় অথবা বাঁশের লাঠিতে করে ঘাড়ে নিয়ে বহন করত। চরাঞ্চলের উৎপাদিত কৃষিপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনসহ ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেয়ার জন্য একমাত্র মাধ্যম হিসেবে ঘোড়ার গাড়িটি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে।

সারিয়াকান্দি উপজেলা চর এবং নদীবেষ্টিত এলাকা। উপজেলার বাঙালি ও যমুনা নদী অন্যতম। বর্ষার সময়ে এই নদনদী তাদের চিরচেনা রূপ-যৌবন ফিরে পায়, পানিতে তলিয়ে যায় প্রত্যন্ত চরের নিম্নাঞ্চল। এসময় চরবাসীর একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে থাকে নৌকা। তবে শুকনো মৌসুমে যাতায়াতের একমাত্র প্রধান মাধ্যম ঘোড়ার গাড়ি। আর প্রত্যন্ত এসব এলাকার অনেক মানুষ ঘোড়ার গাড়ি দিয়েই তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। চরাঞ্চলের কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানান, এসব চরাঞ্চলে যান্ত্রিক কোনো যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।