যশোরের কেশবপুরে নিষিদ্ধ পলিথিন ও শপিং ব্যাগে সয়লাব হয়ে গেছে। সরকারের নির্দেশনা মানছেন না অসাধু ব্যবসায়ীরা। কেশবপুর পৌর শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ও শপিং ব্যাগে ভরে গেছে। জানা গেছে, পলিথিন অপচনশীল ও সর্বনাশা পলিথিনের এমন যথেচ্ছ ব্যবহারের ফলে বিশেষ করে বর্ষাকালে পয়োঃনিষ্কাশনের ড্রেন, নালা, নর্দমা, খাল, বিল ও নদীগুলো ভরাট হচ্ছে আর দূষিত হচ্ছে পানি। পলিথিন নদী ও সাগরের তলদেশে জমা হয়ে জীববৈচিত্র্য ও সামুদ্রিক জীবের মারাত্মক ক্ষতি করছে। মাছ-মাংস পলিথিনে প্যাকিং করলে অবায়বীয় ব্যাকটেরিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এতে রেডিয়েশন তৈরি হয়ে খাবার বিষাক্ত হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পলিথিন থেকে নির্গত হয় বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। ২০২৪ সালের ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার পলিথিন ব্যবহার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। তারপরও কেশবপুরের অসাধু ব্যবসায়ীরা সে নির্দেশনা মানছে না। পলিথিন ও শপিং ব্যাগে সয়লাব গেছে। আইনের যথাযথ বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। কেশবপুর উপজেলা শাখার নাগরিক সমাজের সভাপতি অ্যাড. আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, পুরো বিশ্ব থেকে পলিথিন, শপিং ব্যাগ ও প্লাস্টিক বাতিল করেছে বা করছে। বিশ্বের প্রথম ১০টি পলিথিন উৎপাদন ও ব্যবহারকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। কেশবপুরের নদী গুলির তলদেশ পলিথিন ও প্লাস্টিকে ভরে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ৫০ বছর পর এ সব নদীতে মাছের চেয়ে পলিথিন বেশি থাকবে। তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন। কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. আলমগীর হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ও শপিং ব্যাগ বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। পলিথিন থেকে নির্গত হয় বিষাক্ত পদার্থ, যা মানবদেহের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর। পলিথিন নষ্ট হতে কয়েক শত বছর সময় লাগে।
কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ও শপিং ব্যাগ যেসব ব্যবসায়ীরা সরকারের নির্দেশ অমান্য করে বাজারে আমদানি করে পরিবেশ বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।