নবগঠিত অন্তর্বর্তীকালীন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে চারটি উপজেলার প্রতিনিধি না রাখার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাঙামাটি শহরের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে সংশ্লিস্ট উপজেলাসমূহের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অ্যাড. রাজিব চাকমা। তিনি বলেন- রাঙামাটিস্থ ১০টি উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র ৬টি উপজেলা মধ্যে ১৫ জন প্রতিনিধিদের নিয়োগ দিয়ে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনো প্রতিনিধি না রেখে এলাকাবাসীর সঙ্গে চরম বৈষম্যমুলক আচরণ করায় আমরা মর্মাহত। উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা রাঙামাটি সদর উপজেলা হতে ৯ জন সদসকে রেওয়াজবহির্ভুতভাবে নিয়োগ প্রদান করে স্বজনপ্রীতি ও ফ্যাসিস্ট মানসিকতাকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। অধিকন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে এলাকাবাসীর অর্জিত আইনি অধিকার হরণ করেছেন। অথচ আমাদের প্রত্যাশা ছিল, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ খ্রিষ্ট্রাব্দ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশে যে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, সারা দেশের মতো রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়ও বৈষম্যমুক্ত পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। জেলার ১০ উপজেলা থেকে দল নিরপেক্ষ ও এলাকার উন্নয়নে নিবেদিত এমন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা হবে।