ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

টুকরো খবর

অবহেলিত বিদ্যালয় ২১ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

অবহেলিত বিদ্যালয় ২১ বছরেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

সোনাগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের একমাত্র অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ব চরশাহাপুর মিজানুর রহমান মানিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার ২১ বছর ফেরিয়ে গেলেও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত গ্রামাঞ্চলের বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ! ২০০৩ সালে সোনাগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মানিক চরাঞ্চলের কোমলমতি শিশুদের কথা বিবেচনা করে পূর্ব চরশাহাপুর গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত ২১ বছর ধরে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বহন করে আসছেন। বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে এই আশায় শিক্ষকরা জীবনের সোনালি সময়গুলো বির্সজন দিয়ে আজও প্রতীক্ষায় আছেন একদিন তারা আলোর মুখ দেখবেন।

বিদ্যালয়ে বর্তমানে চারজন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। জরাজীর্ণ টিনের একমাত্র বিদ্যালয় ভবন রয়েছে। শিক্ষার্থীদের জন্য নেই কোনো প্রকার ওয়াশব্লক। সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। নেই তৃষ্ণা মেটানোর জন্য টিউবওয়েল। শ্রেণি কক্ষ সীমিত, পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ না থাকায় গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতো বিদ্যালয়ে নেই প্রাক প্রাথমিকভাবে দৃষ্টিনন্দন শিক্ষা সামগ্রী। প্রধান শিক্ষিকা মাসুমা আক্তার লিপি বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে আজও আছেন। সহকারী শিক্ষক আবদুর রহমানও সুদীর্ঘ ২১ ধরে জীবন যৌবনের রঙিন স্বপ্নগুলো বিদ্যালয়ের বারান্দায় পার করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের সামনের সড়ক দিয়ে আসা যাওয়া করা মানুষগুলোর ভাগ্যের পরিবর্তন হলেও পূর্ব চরশাহাপুর মিজানুর রহমান মানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা রয়ে গেছে ভাগ্য বিড়ম্বনার তালিকায়! কখন যে বিদ্যালয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রুপান্তরিত হয়ে শিক্ষকদের ভাগ্যে বদল হবে এই আশায় দিন গুণছেন শিক্ষকরা। এলাকাবাসী আশা করছেন দ্রুত বিদ্যালয়ে উন্নয়ন এর ছোঁয়া লাগবে। পরিবর্তন হবে বিদ্যালয় ভবনসহ সব অবকাঠামো।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত