ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বসবাস যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলতে নিজেদের বেশ কিছু আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেছেন জেলার তরুণ-তরুণিরা। ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল এর উদ্যোগে ইউএসএইড এর সহযোগিতায় গত মঙ্গলবার আয়োজিত এক ক্যাম্পেইনে তরুণ-তরুণীরা নিজেদের ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এ সময় জেলা পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে অংশ গ্রহণকারী তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। পরিবেশ, নদী, মাছসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে কর্মকর্তাদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন ও জানতে চান উপস্থিত তরুণেরা। ‘আমিও জিততে চাই’ স্লোগানে নিয়ে হওয়া এ ক্যাম্পেইনে শতাধিক তরুণ-তরুণী অংশ নেন। সুর সম্রাট ওস্তাদ দি আলাউদ্দিন সংগীতাঙ্গনে আয়োজিত ওই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিমুল হক। প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। শামীম আহমেদের পরিচালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন বিএডিসির নির্বাহী প্রকৌশলী রনি সাহা, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক খালিদ ইবনে সাদিক, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, প্রেসক্লাব সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাঈদ হাসান সানি, সমীর চক্রবর্তী, শাহাদাৎ হোসেন। অনুষ্ঠানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ডেমোক্রেসির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় তরুণরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নদ-নদীগুলোকে দখলমুক্ত, নদ-নদী ও খাল-বিলে ময়লা না ফেলতে সবার প্রতি তারা আহবান জানান। বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকে ডায়াগনস্টিকের রোগ নির্ণয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। দিনে-রাতে সমান তালে নিরাপদ ভাবে চলাচলের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ স্থাপনেরও দাবি তোলা হয় তরুণদের আলোচনায়। এ ছাড়া প্রত্যেক এলাকায় খেলার মাঠ, সবার জন্য নিরাপদ সড়ক, মাদকমুক্ত এলাকা, নারী ও শিশুবান্ধব নগরী গড়ে তোলার বিষয়েও তরুণ-তরুণীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এ সময় ‘নেতা আসছে’ নামে ছোট্ট একটি নাটক পরিবেশিত হয়। এই নাটকে সমাজ এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী বিষয় অন্তরায়, কী কী করা প্রয়োজন এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি নাটকের মাধ্যমেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সম্ভাবনা ও সমস্যার কথা তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে জেনে নেয়া হয়।