মনোহরদী পৌরসভার বাইপাস সড়ক বেহাল

প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আসাদুজ্জামান নূর, মনোহরদী (নরসিংদী)

নরসিংদী জেলার মনোহরদী পৌরসভার বাইপাস সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। মনোহরদী বাসস্ট্যান্ড থেকে পৌর ভবনের প্রধান ফটক পর্যন্ত প্রায় আধা কিলোমিটার পাকা রাস্তা ড্রেন লাইন করার জন্য ভেকু দিয়ে কয়েক গজ পর পর বিশাল বিশাল গর্ত করে রাখা হয়। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঠিকাদারকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই এবং ড্রেনেজ প্রকল্পটি সাময়িকের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে যান চলাচল, মানুষের যাতায়াত এবং রাস্তার দু’পাশের কয়েকশ দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মনোহরদী বাজারের অসংখ্য দোকানি পথে বসে পড়ার উপক্রম হন।

এ ছাড়া উপজেলা পরিষদ, মনোহরদী থানা, মনোহরদী বাজার, পৌর ভবন, ভূমি অফিস, সাব রেজিস্ট্রি অফিস, মনোহরদী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, মনোহরদী মডেল সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, চন্দনবাড়ী এস এ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মনোহরদী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চন্দনবাড়ী কামিল মাদরাসা, মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, ব্যাংক-বীমার অফিসসহ বিভিন্ন দপ্তরে যাতায়াতের একমাত্র সহজ ও প্রধান রাস্তা এটি। বাইপাস সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় এখন মানুষ বাধ্য হয়েই মনোহরদী বাজার রোড দিয়ে চলাচল করছে। এতে করে মনোহরদী পৌরবাসীসহ পথচারীদের প্রতিনিয়ত পড়তে হচ্ছে যানজটসহ বিভিন্ন দুর্ভোগে। বাজার রোড কেটে নদীতে ড্রেন নেয়া হয়েছিল, কিন্তু রোডটি আর রিপিয়ারিং করা হয়নি, এর জন্য যাত্রীবাহী অটোরিকশা, সিএনিেজ প্রায়ই কাত হয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টির পানি গড়িয়ে যায় রাস্তায় দিয়ে। মনোহরদী পৌরসভা ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৬.৬৬ কিলোমিটার। পৌরসভার জনসংখ্যা ২৩ হাজারের বেশি। ২০০১ সালে তৎকালীনন সংসদ সদস্য সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল মনোহরদী পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করে খাল ভরাট করে পৌরসভার এই বাইপাস সড়কটি তৈরি করেন। ১৫ বছর পর ইটের সলিং থেকে কার্পেটিং করা হয়। এখন রাস্তাটির উপরে বড় বড় গর্ত করে রাখায় বেহাল অবস্থা থাকলেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি মনোহরদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। মনোহরদী পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার অরুণ মোল্লা বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে, অচিরেই কাজ ধরবে বলে আমি আশা করছি। মনোহরদী পৌর সভার প্রশাসক ইউএনও হাসিবা খান বলেন, দীর্ঘদিন পর ঠিকাদারকে পাওয়া গেছে। আশা করছি অচিরেই কাজ ধরবে।