লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত নীলফামারীর কারিগররা

প্রকাশ : ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

সর্ব উত্তরের জেলা নীলফামারীতেও শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোশক তৈরির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক বানাতে ক্রেতারাও ভিড় করছে দোকানগুলোতে। অনেকেই আবার ব্যস্ত নিজের পুরনো লেপ-তোশক মেরামতে। যে যার সাধ্যমতো শীত মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নীলফামারীর নদী এলাকার বাসিন্দারা সকালে ও সন্ধ্যায় হালকা গরম কাপড় এবং রাতে গায়ে কাঁথা ও চাদর জরাচ্ছেন।

৭৫ বছর বয়সী খাদিজা বেওয়া ও তার বউমা রূপালী খাতুন নিজেদের পুরনো ব্যবহারী কাঁথা সেলাই করে নিচ্ছেন, কারণ লেপ-তোশক বানানোর ক্ষমতা তাদের নেই, তাই পুরনো কাঁথা সেলাই করে ব্যবহারের উপযোগী করছেন। তারা জানান, আমরা গরীব দুস্থ অসহায় মানুষ বাবা, নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তাতেই ঠিক মতো খাবার পাই না, আর গায়ে দেবো নতুন কম্বল আমরা খেটে খাওয়া মানুষ, আমাদের ঠান্ডা কম লাগে।

জানা গেছে এবারে বাজারে শিমুল তুলা কেজি ৪৫০ টাকা আর বিচি ছাড়া ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা, এসব তুলার বালিশ সমাজের ধনীরা ব্যবহার করেন। আর গার্মেন্টসের ঝুটের তুলায় মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন বালিশ ও লেপ ব্যবহার করেন, তবুও বর্তমান বাজারে ৫ বাই ৫ লেপ বানাতে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা লাগে যা গতবারের তুলনায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেশি।

বাজারে কার্পাস তুলা টাকা, প্রতি কেজি কাল তুলা ৩০ থেকে ৪০ রাবিশ তুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা, সাদা তুলা দেড়শো থেকে দুশো টাকা কেজি চলছে। নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরের লন্ডন মার্কেটের ব্যবসায়ী আকরাম খান আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, কেবল শীতের মৌসুম লাগা লাগা ভাব, তাতেই লোকজনের আনাগোনা বেড়েছে, এবং এটা চলবে শীতের শেষ পর্যন্ত। নীলফামারীর পুরনো কাপড় বাজারের সভাপতি মাসুম শেখ বলেন, মানুষের ভীর গত মাসের চেয়ে কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, আশাকরি শীতের শেষ পর্যন্ত বেচাকেনা ঠিক থাকবে। নীলফামারীর কালিবাড়ীর লেপ-তোশক তৈরি দোকানগুলোতে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন কারিগররা। লেপ-তোশক তৈরির কারিগর নুর হোসেন বাবু বলেন একটি লেপ সেলাই ৩৫০ টাকা, তোশক ২৫০ টাকা, বালিশ ৫০ টাকা, কোলবালিশ ৮০ টাকা, এই মজুরি গতবারের তুলনায় একটু বেশি, আর সেটার কারণ জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি। এদিকে তৈরি লেপতোশক বালিশ নিয়ে রাজশাহী, পাবনা, গাইবান্ধা থেকে কয়েকজন ব্যবসায়ী সৈয়দপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তাদের ব্যবসা চালাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।