কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে বেড়েছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। তারপরও সবজির বাজারে অস্থিরতা কমছে না। পাশাপাশি ক্রেতাদের অস্বস্তি বাড়িয়েছে আলু ও পেঁয়াজ। এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে নিত্যপণ্যের বাজার। গতকাল শনিবার তাড়াইল উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকার বাজার ঘুরে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে শীতের সবজির পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। শাকের দাম নাগালের মধ্যে। বেশিরভাগ সবজিই ৭০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে পর্যাপ্ত সবজি আসতে শুরু করেছে। এর ফলে বেশিরভাগ সবজির দাম কমেছে। তবে নতুন আলু না আসা পর্যন্ত পুরোনো আলুর দাম বাড়তি থাকবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ইচ্ছামতো দাম বাড়াচ্ছেন। বাজারে নিয়মিত অভিযান চালালে অসাধুদের দৌরাত্ম্য কমবে। তাড়াইল সদর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৮০, ঢ্যাঁড়স ৮০, বরবটি ১০০, মুলা ৬০, লতি ৬০, ধুন্দুল ৬০, পটোল ৭০, পেঁপে ৫০, গাজর ১৬০, কচুরমুখী ৬০, টমেটো ১৪০, শিম ১০০, শসা ৫০, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৪০, জলপাই ৪০, কাঁচামরিচ ১০০, আলু ৬০, ধনেপাতা ২০০, পেঁয়াজ ১১০ টাকা এবং লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা। আর মানভেদে প্রতি পিস ফুলকপি ৮০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে মাছের বাজারে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। কেজিতে ৩০ টাকা কমে প্রতি কেজি পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। কেজিতে ২০ টাকা কমে প্রতি কেজি তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছিল ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি কেজি রুই বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায়। সপ্তাহের শেষে মুরগির দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা এবং সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকার মধ্যে। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়। প্রতি কেজি খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকায়। সবজি, মাংস ও মাছের দাম কমলেও চড়া চালের বাজার। বাজারে মোটা চালের দর কেজিতে ৫২-৫৫ টাকা, আর চিকন চাল ৬৮-৭৫ টাকা। চাল বিক্রেতারা জানান, আমন ধান ওঠা শুরু হলে বাজারে দাম কমতে শুরু করবে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আটাশ ৬০-৬২ টাকা বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন, হুমায়ুন কবির, জালাল উদ্দীন জানান, চলতি মৌসুমে সবজি চাষীরা বন্য ও বৃষ্টির কারণে আশানুরূপ সবজি চাষ করতে পারেননি। তাই পাইকারি কেনা দরের চেয়ে সামান্য কিছু লাভ হাতে রেখে আমরা সবজি বেচা-কেনা করছি। তাড়াইল সদর বাজারে বাজার করতে আসা শাহানা বেগম, আবুল হাসান, আবদুল করিম বলেন, বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। তারপরও দাম কমছে না। অন্য সব ধরনের পণ্যের দামই আকাশ ছোঁয়া। মানুষ কি খেয়ে বাঁচবে। দাম বেশি হওয়ায় সবজি কম কিনেছি। টমেটো কিনেছি হাফ কেজি।