২৪ বছর পর গত শনিবার বাগেরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে অনুষ্ঠিত কর্মী সমাবেশে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, একটি ছাত্র সংগঠন নীতি, নৈতিকতা ধ্বংস করতে লিপ্ত হয়েছিল, আর শিবিরকর্মীরা প্রত্যেক মায়ের নিরাপত্তা, ইজ্জত, আবরু ও সম্ভ্রমের দায়িত্ব নেবে। পড়ার টেবিল থেকে আটকের পর জঙ্গি নাটকের তকমা লাগিয়েও ছাত্রশিবির কর্মীদের শেষ করতে পারেনি। এত নির্যাতনের পরও শিবির নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালাইনি।
অথচ দেশ প্রেমিকের তকমা লাগানো নেত্রী নেতাকর্মী রেখে পালিয়েছে। এখন সকল দলের সহবস্থানে ক্যাম্পাস আবার ভরে উঠুক- শিবির সেটাই আশা করে।
শিবির সভাপতি আরো বলেন, সমাজ, রাষ্ট্রের সকল অভাব পূরণে ছাত্র শিবিরের প্রতিটি নেতার কাজ করতে হবে। আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতিকে গলাটিপে হত্যা করেছে হাসিনা সরকার। আর এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার সেই সংস্কৃতি নষ্ট করা ব্যক্তিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।
হাসিনা বিভিন্ন রূপে ফিরে আসতে পাঁয়তারা ও ষড়যন্ত্র করছে। সে বিষয়ে শিবিরকর্মীদের অতন্ত্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে। বিগত সরকারের হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি ও সেকেন্ড হোমের প্রতিবাদে শিবির দেশব্যাপী সৎ, দক্ষ ও ইনসাফের মানসিকতা সম্পন্ন কর্মী তৈরিতে আত্মনিয়োগ করবে। বাগেরহাট জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি নাজমুল হাসান সাইফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তৃতা করেন- জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা মাও. মশিউর রহমান, কেন্দ্রীয় কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক মো.শফিউলাহ, বাগেরহাট জেলা জামায়াতের আমীর মাও. রেজাউল করীম, অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ, শেখ মোহাম্মদ ইউনুস, হাফেজ আব্দুল আওয়াল, মঞ্জুরুল হক রাহাদ, অধ্যক্ষ আব্দুল আলীম, আধ্যাপক ইকবাল হুসাইন, মাওলানা ইমরান হুসাইন, এনামুল হুসাইন, হাফেজ সুলতান আহমেদ, হাফেজ আ. রশিদ, অ্যাডভোকেট বেলায়েত হোসেন সুজা, ডা. আতিয়ার রহমান প্রমুখ ।