৬০০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও : আটক চার
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
নওগাঁ প্রতিনিধি
বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুনকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করে নওগাঁয় পুলিশে দিয়েছে। গতকাল রোববার বগুড়া থেকে তাকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এর আগে শনিবার মামুনুর রশিদ মামুনের স্ত্রী, ভাগনি জামাই এবং বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনুর বোন সুফাকে আটক করে পুলিশ। নাজিম উদ্দিন তনু নওগাঁ শহরের জগৎসিংহপুর মহল্লার বাসিন্দা। মামুনুর রশিদ মামুন আটকের খবর জানার পর প্রায় দুইশ ভুক্তভোগীরা সদর থানায় গিয়ে ভিড় করে। পরে থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী তাদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠান।
জানা যায়- নওগাঁ শহরের খাঁস-নওগাঁ পোষ্ট অফিস পাড়ায় গত কয়েক বছর থেকে বেসরকারি সংস্থা বন্ধু মিতালী ফাউন্ডেশন ঋনদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। এছাড়া জামানতকারীদের লাখে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা মুনাফা (লাভ) দিতেন। জেলার ১১টি উপজেলায় এ সংস্থার শাখা রয়েছে। উচ্চ মুনাফার ফাঁদে পড়ে গ্রামের সহজ-সরল শত শত মানুষ কোটি কোটি টাকা আমানত রাখে। এ সংস্থার সদস্য প্রায় সাড়ে ৫ হাজার জন। গত দুই মাস থেকে গ্রাহকদের মুনাফা দেয়া বন্ধ করে দেয় ওই সংস্থা। কিন্তু তারপরও সংস্থার প্রধান নির্বাহী (এমডি) নাজিম উদ্দিন তনু কৌশলে গ্রাহকদের ডিসেম্বর মাস থেকে মুনাফা দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগেও শহরের সরিষাহাটির মোড়ে একটি শাখা বন্ধ রাখা হয়। বন্ধ পাওয়ায় শাখার শত শত গ্রাহকরা দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। মুনাফা না পেয়ে কিছুদিন আগে ভুক্তভোগীরা বিষয়টি নিয়ে সেনাবাহিনী সহ প্রশাসনকে লিখিত অভিযোগ করে।
গত অক্টোবর মাসে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে এক সমাবেশে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন সংস্থার পরিচালক ও চেয়ারম্যান। কিন্তু গত ১২ নভেম্বর সংস্থার সব কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে রাতের আধারে সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহকের অন্তত ৬০০ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায় সংস্থার পরিচালক ও চেয়ারম্যান। শত শত গ্রাহক প্রতিদিন সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। আদো টাকা পাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় গ্রাহকরা। গ্রাহকদের পক্ষ থেকে থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। নওগাঁ সদর থানার ওসি নুরে আলম সিদ্দিকী বলেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা মামুনুর রশিদ মামুনকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। তাকে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।