সেন্টমার্টিন ভ্রমণে বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি
প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার
সরকারি ঘোষণায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের রাতযাপন সীমিতকরণ ও ভ্রমণে আরোপিত বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোট। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। গতকাল কক্সবাজার প্রেসক্লাবে সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা এসেছে। জোটের চেয়ারম্যান শিবলুল আজম কোরেশি বলেন- ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় জনগণ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎসজীবী, চাকরিজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং রাতযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার ফলে এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকিত। পর্যটন উদ্যোক্তারা পথে বসার উপক্রম হয়েছে। হোটেল-রিসোর্ট মালিকদের বিনিয়োগ হুমকির মুখে পড়েছে।
মতবিনিময় সভায় সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, এ সিদ্ধান্তের ফলে দশ হাজারের অধিক মানুষ আজ নানাভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তারা মানবেতর জীবনযাপন করছে। তাদের জীবন-জীবিকা মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে এবং দ্বীপবাসী নানান সংকটের মধ্যে পড়েছে। পর্যটনের সঙ্গে জড়িত লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দ্বীপের মানুষের বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল মালেক। তিনি পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েক লাখ মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয়টি বিবেচনার অনুরোধ করেন। জনমতের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানান পর্যটন ব্যবসায়ী আকতার নুর।
এ সময় সেন্টমার্টিন দ্বীপের বিশিষ্টজন, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব), ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক), সেন্টমার্টিনস দ্বীপ পরিবেশ ও পর্যটন রক্ষা-উন্নয়ন জোটের, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সেন্টমার্টিন, ই-ট্যুরিজম এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ট্যাব), সেন্টমার্টিন দোকান মালিক সমিতি, বোট মালিক সমিতি, মৎসজীবী মালিক সমিতি, বাংলাদেশ স্লিপার এসি বাস মালিক সমিতি, জাহাজ মালিকদের সংগঠন সি-ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (স্কুয়াব) নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।