সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে পেঁয়াজ ও রসুন বীজের সংকট ও তার মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে মৌসুমি এ চাষাবাদে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। এতে এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার জেলার ৯টি উপজেলার প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াঁজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
এরমধ্যে পেঁয়াজ ১ হাজার ৮৫ হেক্টর ও রসুনের ৯০০ হেক্টর জমি ধরা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৃষকরা লাভজনক পেয়াঁজ রসুন চাষাবাদ শুরু করেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাট-বাজারে এ বীজ সংকট ও মূল্যবৃদ্ধি থাকায় কৃষকরা এখন দিশাহারা হয়ে পড়েছে। বর্তমানে হাট-বাজারে হাইব্রিড পেঁয়াজের বীজসহ বিভিন্ন জাতের পেঁয়াজের বীজ গড়ে সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা ও রসুনের বীজ ৩৪০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে এবং তাও আবার এ বীজের সংকটের দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি এ চাষাবাদ হয়ে থাকে জেলার চলনবিল এলাকার তাড়াশ, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এছাড়া যমুনার তীরবর্তী চরাঞ্চলে এ চাষাবাদ করছে। তবে চলনবিল এলাকায় প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও রসুন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বীজের দাম বেশি থাকায় এ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বলছেন, ১ বিঘা রসুন চাষাবাদে প্রায় ৩০ হাজার এবং পেঁয়াজ চাষাবাদে প্রায় ৫৬ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে।
এ চাষাবাদে বীজের দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। তবে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ভরা মৌসুমে এ ২ ফসলের বীজের মূল্যবৃদ্ধি ও সংকটের সৃষ্টি হওয়ায় চাষাবাদে অনেক কৃষক বিপাকে পড়েছে। জেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক আঃ জাঃ মুঃ আহসান শহিদ সরকার বলেন, এ চাষাবাদে উৎসাহিত করা জন্য ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ-রসুনের বীজের দাম এখন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বীজ সংকটের বিষয় এখনও জানা যায়নি। এ চাষাবাদে বাম্পার ফলন হলে খরচ বাদে কৃষকরা লাভবান হবে। এ চাষাবাদে স্থানীয় কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।