ঢাকা ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

গাইবান্ধার বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালীন শাক-সবজি চাষে ঝুঁকছেন প্রান্তিক কৃষক। তারা এই ফসল উৎপাদনে কেউ করছেন জমি প্রস্তুত, আবার কেউ কেউ করছেন ক্ষেত পরিচর্যা। এ বছর অধিক লাভের স্বপ্নে হেমন্তের তীব্র রোদে দিনভর মাঠে ঘাম ঝরাচ্ছেন বলে জানালেন এই কৃষকরা। সম্প্রতি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর উপজেলাসহ আরো বেশ কিছু এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে- কৃষকদের শাক-সবজি চাষাবাদের ব্যস্ততা। মাঠে আপন খেয়ালে কাজ করছেন তারা। জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে- চলতি রবি মৌসুমে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রায় ৬ হাজার ৯৪৭ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে জমি প্রস্তুতসহ ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন কৃষক। এ পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে প্রায় ৩ হাজার হেক্টর। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গেল খরিপ মৌসুমে বিরূপ আবহাওয়ায় শাক-সবজিসহ অন্যান্য ফসলের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এসব ক্ষতি পূষিয়ে নিতে সম্প্রতি কৃষকরা ঝুঁকে পড়ছে শীতকালীন সবজি চাষে। সেই সঙ্গে গত বছরের তুলনা এ বছরে কাঁচা তরকারির দাম বেশি থাকায় শাক-সবজি চাষে প্রান্তিক কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই। তারা এরই মধ্যে মুলা, লাউ, সিম, কপি, বেগুন, গাজর, পালং শাক, লাল শাকসহ আরো বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রিও করছে। তবে এ বছরে বীজ-সার-কিটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেশি থাকায় চাষাবাদে হিমশিম খাচ্ছে। এরই প্রভাবে উৎপাদন কম হওয়ার শঙ্কায় ভুগছেন তারা। তবুও লাভের আশায় শীতকালীন শাক-সবজি চাষে মাঠে ঘাম ঝড়াচ্ছেন কৃষকরা। কৃষক আজগর আলী বলেন, এরই মধ্যে দেড় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ ও মূলা আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পরে ফসল বিক্রি করা যেতে পারে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। যা গত বছরের চেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। তাই অধিক ফলন ও ভালো দাম পেলে লাভবান হওয়া সম্ভব। তবে কৃষি অফিসে কোনো সহযোগিতা পান না বলে তার অভিযোগ। জাহাঙ্গীর আলম নামের আরেক কৃষক বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরেও শীতের সবজি হিসেবে গাজর ও বেগুনসহ অন্যান্য শাক-সবজি আবাদ করেছি। এতে কৃষি বিভাগের কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তাদের পরার্শ পেলে লাভবান হওয়া যেতো। উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রুহুল আমিন মন্ডল বলেন, শাক-সবজির স্থানীয় চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে ও কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেয়াসহ বিভিন্নভাব সহযোগিতা করা হচ্ছে। গাইবান্ধা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলতি রবি মৌসুমে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা হিসেবে বীজ-সার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। শীতকালীন শাক-সবজির অধিক ফলন পেতে তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত