আমন ধানের ফলনে খুশি কৃষক
প্রকাশ : ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন। ফসলি মাঠে বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে বইছে তৃপ্তির হাসি। প্রতি বিঘা জমিতে ১৬ থেকে ২০ মণ ধান ঘরে তুলতে পারবে কৃষক। প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ১২০০ থেকে সাড়ে ১৩০০ টাকায়। সরেজমিন ও কৃষি অফিসসূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমে এ উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এবারে ২৬ হাজার ৪১৪ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী জাতের) ৬ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে ও স্থানীয় জাতের ২০ হাজার ২৬৪ হেক্টরে আমন ফসল উৎপাদন করেছেন কৃষক। মাঠ জুড়ে সোনালি ফসলের সমারোহ চারিদিকে মৌ-মৌ গন্ধ। বাম্পার ফলনে কৃষকের ঘরে ঘরে বইছে উৎসবের আমেজ। সপ্তাহজুড়ে মাঠে মাঠে কর্তন শুরু হয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি-১১, ব্রি-৪৯, ব্রি-৫২, ব্রি -৭৫, ব্রি-৭৬, বি আর -২৩, বি আর-১১সহ একাধিক প্রজাতির আমন কর্তন। নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের আমুরবুনিয়া গ্রামের কৃষক দিলীপ গাইন, জগদীশ ডাকুয়া, তপন মিস্ত্রি, উজ্জ্বল সরদার, সুমন গাইন, নুরুজ্জামান শেখসহ একাধিক কৃষক মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলন ভালো হওয়ায় বেজায় খুশি তারা। তৃপ্তির হাসি দিয়ে ধান কাটা এ কৃষকরা বলেন গতবারের চেয়ে এবারে প্রতি বিঘায় ৩-৪ মণ ধান বেশি পাবো। বাজারে দামও রয়েছে ভালো। উৎপাদিত ফসলে বিঘা প্রতি সার, ওষুধ, শ্রমিকসহ খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। সেই খানে বিঘা প্রতি ধান বিক্রি করতে পারছে ১৪ হাজার টাকায়। ফসলিমাঠে পোকা মাকড়ের আক্রমণও এবারে কম হয়েছে বলে কৃষকরা জানান। ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সামসুন্নাহার বলেন, অন্যসব বছরের চেয়ে এবারে আমনের ফসল খুবই ভালো হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোনো রোগবালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না আসলে কৃষক তাদের কাঙ্ক্ষিত ফসল ঘরে তুলতে পারবে। কৃষি অফিস থেকে এরইমধ্যে এসব চাষিদের বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক পরামর্শের কারনেই ভালো ফসল ফলাতে সক্ষম হয়েছে কৃষকরা। মোরেলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, এবারে এ উপজেলায় কৃষক ২৬ হাজার ৪শ ১৪ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ করেছেন। এ অঞ্চলে উফশী জাতের ধান একটু আগেভাগেই কর্তন শুরু হয়। তবে স্থানীয় জাতের আমন কাটা আর ২ সপ্তাহ পর শুরু হবে। বেশিরভাগ জমিতে ভালো ফলন হয়েছে।