শেরপুর বিচার বিভাগে গভমেন্ট প্লীডার (জিপি), পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপিসহ ৩১ সরকারি আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
গত সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের উপ-সলিসিটর সানা মো. মাহরুফ হোসাইন সাক্ষরিত এক পত্রে এ নিয়োগসংক্রান্ত আদেশ জারি করা হয়। একই আদেশে পূর্বে নিয়োগকৃত সব আইন কর্মকর্তার নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদের নিজ নিজ পদের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট মো. সিরাজুল ইসলাম।
নতুন নিয়োগপ্রাপ্তরা হলেন- জিপি পদে খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব, পিপি পদে মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান ও নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি পদে আশরাফুন্নাহার রুবী। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তাদের সবাই বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবী। তাদের মধ্যে নবনিযুক্ত জিপি খন্দকার রকীব জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি, পিপি আব্দুল মান্নান জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শহর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্পেশাল পিপি রুবী জেলা মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
গতকাল নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত আইন কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৮ জন শেরপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের কাছে যোগদানপত্র জমা দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জিপি খন্দকার মাহবুবুল আলম রকীব ও পিপি মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান জানান, আজ বুধবার থেকে আমরা আদালতে আইনগত দায়িত্ব পালন শুরু করব। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা এবং বিচারপ্রার্থীদের সঠিক বিচার নিশ্চিত করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য।