আমন ধানের বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  পারভেজ উজ্জ্বল, নীলফামারী

নীলফামারীর গ্রামে গ্রামে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। কৃষকেরা বলছেন, এবারও গত বছরের মতো ফলন ভালো হয়েছে। অসময়ে কিছুটা বৃষ্টি হলেও কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই ফসল তুলতে পারছেন ঘরে। নতুন ধানের চালের হরেক রকম পিঠা পায়েস খিচুড়ি ও মিষ্টি দিয়ে অগ্রহায়ণের নবান্ন উৎসবে মেতে উঠবেন। সদর উপজেলার কুন্দুপুকুর ইউনিয়নের শালহাটির খুশি আকতার বলেন, নবান্ন উৎসব কে কেন্দ্র করে ঘরবাড়ি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়।

নতুন ধানের চাল আটা ও নতুন খেজুরের গুড় দিয়ে রকমারি পিঠা পায়েস তৈরির ধুম পড়ে। নতুন চালের অন্যরকম সুগন্ধি ছড়ায় চারপাশে। এ সময় প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজনসহ মেয়ে জামাই কে দাওয়াত করে খাওয়ানো হয়। এই সময় গ্রামের বাড়ি গুলোতে উৎসবের আমেজ থাকে। নীলফামারী মশিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল শহিদুল ইসলাম বলেন, নবান্ন হলো বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। অগ্রহায়ণ মাসে নতুন ধান কেটে গোলায় তুলতো, সেই ধানের চালের ক্ষীর পায়েস তৈরি করে আত্মীয়স্বজন কে খাওয়াতো। যাকে বলা যায় নব+অন্ন মানে নতুন খাদ্য। এটি বাঙালির প্রথম উৎসব হলেও এখন তেমন পালন হয়না, শুধুমাত্র গ্রামের সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষেরা প্রতিবছর এই উৎসবটি করে আসছেন নিয়মিত, যা অনেকটা পুজোর মতন। এ বিষয়ে নীলফামারী চাঁদের হাট ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক, কৃষক নেতা মো,ওলিউর রহমান জানান, আগে বছরে একবার ধান হতো সেই কারণে দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ধান গোলায় তুলতো কৃষক তাই নবান্নের উৎসব হতো প্রতিটি ঘরে ঘরে। আর এখন বছরে তিনবার ধান উৎপাদন করে কৃষক তাই নবান্ন উৎসব এখন তেমন আর আগের মতো হয় না। তবে গ্রামের মানুষ এখনো এই দিনটিকে ঈদ পূজো পার্বনের মতোন মানেন। তাদের কাছে নবান্ন একটা গুরুত্বপূর্ণ দিবস। জেলা কৃষি কর্মকর্তাদের সঠিক বুদ্ধি পরামর্শে ও প্রশিক্ষণ মাফিক চলার জন্য এবার আমনের বাম্পার ফলনে কৃষক পেয়েছে গোলাভরা ধান।