মাঠে মাঠে আগাম আলু উত্তোলনের ব্যস্ততা
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আলু উৎপাদন করে ভাগ্য বদলের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতে ভূমিকা রাখছে এ অঞ্চলের কৃষকেরা। এবার এ উপজেলার কৃষকেরা আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বলে জানা যায়। এ অঞ্চলে চাষ হওয়া আলু স্থানীয় বাজারের চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করা হয়। গতকাল বুধবার উপজেলা রনচন্ডী ইউনিয়নের কুঠিয়াল পাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক আগাম আলু উত্তোলন করছেন। আলু রোপনের ৫৫- ৬০ দিনের মধ্যে আলু উত্তোলন করা হচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শ্রমিকেরা জমি থেকে আলু তুলে পরিষ্কার করে বস্তায় ভরছে। কোথাও আবার ডিজিটাল মিটারে ওজন মেপে লোড হচ্ছে করা হচ্ছে গাড়ি।
খেতের মধ্যে আলু তোলার এমন দৃশ্য মাঠজুড়ে। জানা যায়, প্রতি বছর এ উপজেলার ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষক আগাম আমন ধান ঘরে তুলে আগাম বাজার ধরার আশায় আগেভাগে আলুর বীজ রোপণ করেন। বর্তমানে সেই খেত থেকে আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। বাড়তি ঝামেলা ছাড়াই ক্ষেতের আলু খেতেই বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া কয়েক দিনের মধ্যে পুরোপুরি মাঠ থেকে আলু উত্তোলন শুরু হবে। চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষক আবুল হোসেন বলেন, বরাবরের মতো চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বরে বুননকৃত জমিতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফলনযোগ্য আগাম আলু উত্তোলন করছি। জমিতে নারী-পুরুষ মিলে ২০ জন শ্রমিক কাজ করছে। আগাম হিসেবে ফলন কিছুটা কম হলেও বাড়তি খরচ ছাড়াই খেতের আলু খেতে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলাম। আরেক কৃষক সামসুল আলম বলেন, আমি আগাম আলু রোপণ করেছিলাম আমার খরচ গিয়ে মোটামুটি ভালো লাভ হবে আশা করছি।
প্রতি কেজি আলু ৯০ টাকা দরে পাইকারের কাছে বিক্রি করলাম। ঢাকা থেকে আলু কিনতে আসা পাইকার পারভেজ ব্যাপারী বলেন, প্রতিবছর এখান থেকে আগাম আলু নিয়ে গিয়ে রাজশাহী, বগুড়া, ঢাকায় বিক্রি করি। এখান থেকে আগাম আলু কিনে ঢাকায় বিক্রি করলে বর্তমান বাজারে যাতায়াত খরচ গিয়ে মোটামুটি লাভ হবে আশা করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লোকমান আলম বলেন, প্রতিবছর এ উপজেলার কৃষকেরা আগাম সেভেন জাতের আলু চাষ করে থাকেন। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে। এ বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আগাম আলু ৪ হাজার ৭০০ হেক্টর। এ বছর কৃষক আগাম আলু ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।