গতকাল বুধবার উত্তেজনা আর একাংশের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ এবং প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারির মধ্যে দিয়েই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের রাধানগর মাদ্রাসা মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লিয়াকত আলী ফরিদের সভাপতিত্বে ও উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব একেএম ভিপি মুসার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া। যদিও সম্মেলনে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশে এখন নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপি হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল। আমাদের দলের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ টিকতে পারেনি। আপনারা যদি ষড়যন্ত্র করেন, আপনারাও টিকতে পারবেন না। মানুষ এখন নির্বাচনমুখী। তাই আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করে দিন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপি এই সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। তিনি বলেন, বিএনপিকে যারাই আঘাত করেছে তাদের পতন হয়েছে। বিএনপিকে নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র করলে নেতাকর্মীরা তা মেনে নিবে না।
দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপির রাষ্ট্র ক্ষমতায় এলে দেশে আবারো শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে ১৪৪ ধারা জারির ফলে সম্মেলনের পূর্বনির্ধারিত স্থল বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরের এসএম মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সম্মেলন করতে পারেনি আয়োজকরা।
সম্মেলনে অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলাম, কুমিল্লা বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম।
উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নূরে আলম সিদ্দিকী, বেলাল সরকার তুহিন, আসাদুজ্জামান শাহীন প্রমুখ। সম্মেলন শেষে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশকে সভাপতি ও বর্তমান কমিটির সদস্য সচিব একেএম মুসাকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়।