ঢাকা ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়ক বেহাল, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

সড়ক বেহাল, যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের আশঙ্কা

কুমিল্লার তিতাসের শিবপুর-লালপুর ভায়া শাহপুর সড়কের বিভিন্ন অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। পাইপাস হিসেবে ব্যবহৃত সড়কটি দিয়ে কুমিল্লার জেলার ৪টি উপজেলার যাত্রীরা যাতাযাত করে থাকেন। সড়কটি ধস নেমে আসায় এপথের যাত্রীদের মধ্যে সড়কটি বিলীন হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, গৌরীপুর-হোমনা সড়কের শিবপুর বাস স্টেশন থেকে লালপুর পর্যন্ত একটি পাকা সড়ক রয়েছে। লালপুর গ্রাম সংলগ্ন গোমতী নদীতে সেতু পার হয়ে এটি দিয়ে অল্প সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যাতায়াত করা যায়। গৌরীপুর বাজারে দীর্ঘ যানজটের কারণে তিতাস, হোমনা, মেঘনা, মুরাদনগর উপজেলার এপথের পরিবহন চালক ও যাত্রীরা বাইপাস হিসেবে সড়কটি ব্যবহার করে থাকেন। শিবপুর থেকে শাহপুর অংশের প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক খানাখন্দে ভরা। গত বর্ষায় বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কটি উঁচু নিচু হয়ে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়েই মানুষ চলাচল করছে। এর মধ্যে শিবপুর অংশে খাল সংলগ্ন সড়কটির একপাশ ফাটল ধরে খালে নেমে যাচ্ছে। আতঙ্ক-ভয় ও ঝুঁকি নিয়ে এপথের যাত্রীরা যাতায়াত করছে।

শাহপুর গ্রামের সামছুল হুদা বলেন, শিবপুর থেকে শাহপুর-লালপুর সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটিতে ধস শুরু হয়েছে। মূল সড়কের পাশ ঘেঁষে খাল খনন করায় এটি দেখা দিয়েছে। রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গেলে শাহপুরবাসিকে উল্টো লালপুর ও শোলাকান্দি হয়ে গৌরীপুর-হোমনা সড়কে উঠতে হবে।

উপজেলা সদরে যেতে হলে অতিরিক্ত পাড়ি দিতে হবে প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার দাবি জানাচ্ছি। শিবপুর গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি আব্দুল সালাম ভূঁইয়া জানান, অনেকদিন ধরে রাস্তাটি ভাঙাচুড়া অবস্থায় পড়ে আছে। এরই মধ্যে রাস্তাটির একপাশ খালের দিকে নেমে যাচ্ছে। প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি, মাইক্রোবাস ও অটোরিকশা এপথে যাতায়াত করে। সড়কটি সংস্কার না করায় বিশেষ করে বৃদ্ধ ও রোগীদের যাতায়াতে প্রচুর কষ্ট হচ্ছে।

সিএনজি চালক মিরাজ হোসেন বলেন, রাস্তাটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রায় আমাদের গাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। আমরা ভাড়া নিয়ে অনেক জায়গায় যাই, এ রাস্তার মতো খারাপ রাস্তা আর কোন জায়গায় দেখি না। স্থানীয় সিএনজি চালকদের সহযোগিতায় আমরা একাধিকবার রাস্তাটির খানাখন্দ নিজেরা মেরামত করেছিলাম।

কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনা কম হওয়ায় সেই সুফলও আমরা পাইনি। উপজেলা প্রকৌশলী সহিদুল ইসলাম বলেন, উপজেলা পর্যায়ে সবচেয়ে খারাপ রাস্তা শিবপুর-লালপুর সড়ক এটি আমি অস্বীকার করবো না। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য অগ্রাধিকভারে তালিকা পাঠানো হয়েছে। আমার বিশ্বাস উপজেলা পর্যায়ে যদি কোনো রাস্তা সংস্কার কাজ অনুমোদন হয়, তাহলে এটি সবার আগে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত