কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় দায়ের করা বসতবাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে ছানোয়ারা বেগম (৪৮) ও তার ছেলে রাজকে (৮) হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গত বুধবার কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সোহানী পূশণ এ রায় প্রদান করেন। আদালত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের ছেলে আলী আকবর, একই প্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে লালচাঁদ মণ্ডল ও একই উপজেলার জোয়ার্দ্দারপাড়া এলাকার সেকেন্দার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা। আদালতের বেঞ্জ সহকারী অরূপ রায়হান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সোনাইকান্দি গ্রামে বসতবাড়িতে ছানোয়ারা বেগম ও তার ছেলে রাজ ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা ডাকাতি করার জন্য তাদের বসতঘরে প্রবেশ করেন। ছানোয়ারা বেগম জেগে উঠে প্রতিবাদ ও চিৎকারের চেষ্টা করলে তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়। একই ভাবে ছানোয়ারা বেগমের ছেলে রাজকেও হত্যা করে তারা। এরপর আসামিরা ছানোয়ারার গলায় মাফলার ও রাজের গলায় গামছা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এ সময় তার বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র ডাকাতি করে নিয়ে যান আসামিরা। নিহত ছানোয়ারা বেগম সোনাইকান্দি গ্রামের মানিকের স্ত্রী। ওই বাড়িতে ছানোয়ারা ও তার ছেলে রাজ বসবাস করতেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ১৮ নভেম্বর দৌলতপুর থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত ছানোয়ারা বেগমের বোন পারভিনা খাতুন। মামলার তদন্ত শেষে ২৭ ডিসেম্বর তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালতের বিচারক মামলার আসামিদের এই এই শাস্তির আদেশ দেন।