বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি টিম চাঁদপুর লাকসাম রেলপথে যাত্রীদের সেবা ও নিরাপত্তা জোরদারে দিনব্যাপী চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথ, স্টেশন ভবন, ব্রি জ, কালভাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন। এ পরিদর্শনের প্রধান দায়িত্বে ছিলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হাসান। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- সি. উপ-সহ. প্রকৌশলী পথ, লাকসাম লিয়াকত আলী মজুমদার, সি. উপ-সহ. প্রকৌশলী পূর্ত, লাকসাম মো. শহিদুল্লাহ। তিনি চট্টগ্রাম-ঢাকা রেলপথের আখাউড়া, কুমিল্লা, লাকসাম, নোয়াখালী, লাকসাম হতে চাঁদপুর পর্যন্ত এ রেলপথটির সব স্থানের সব স্থাপনা পরিদর্শন করেন। তিনি গত বৃহস্পতিবার লাকসাম থেকে পরিদর্শন শুরু করেন। পর্যায় ক্রমে এ পথের ১১টি স্টেশন ভবন, এ পথের ৫৪ কিলোমিটার রেলপথ, সব ব্রিজ, কালভাটসহ সব প্রকার স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং এ পথের সব স্থানের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, কর্মচারীদের সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য দিকনির্দেশনার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ পথের পরিদর্শন করতে করতে তিনিসহ তার সঙ্গে থাকা সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিকাল ৫টায় চাঁদপুর স্টেশনে এসে অবস্থান নেন। পরে চাঁদপুর স্টেশন এলাকার রেলওয়ে অফিসার্স রেস্ট হাউজে এসে অবস্থান নেন। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময়ে মিলিত হন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের প্রাককালে বলেন, এ পথে যাত্রী সেবাসহ সবকাজে গুরুত্ব দেয়া হবে। চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথসহন আমার ওপর অর্পিত সব স্থানের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করে যাব। তিনি আরো বলেন, এ পথসহ সব স্থানের রেলপথ, স্টেশন ভবন, ব্রিজ, কালভাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবো এবং সবাইকে দায়িত্ব পালনে নিয়মিত তদারকি করে যাব। এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের নিরাপত্তা, সেবা এবং এ পথকে নিরাপদ রাখায় সব প্রকার কাজ যথারিতি করার চেষ্টা চালিযে যাব। এ ছাড়া রাষ্ট্রের মূল্যবান কোটি-কোটি টাকার সম্পদ রক্ষায় সচেষ্ট থাকবো।