ধানকাটা নিয়ে সংঘর্ষ ইউপি সদস্যসহ আহত ১১
প্রকাশ : ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় ধান কাটাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার টংভাঙ্গা ইউনিয়নের গেন্দুকুড়ি সীমান্তে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- উপজেলার টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ (৪০), সাকিব (১৭), সৌরভ (১৮), মিনারুল (৩৮), সিরাজুল (৩৮), আবদার রহমান (৫০), জুয়েল (৩৬), সুমন (২৯), মনির (২০), কাজল (২৪), ও জিবন (১৯)। তারা হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। জানা গেছে, উপজেলার গেন্দুকুড়ি উত্তর সীমান্ত এলাকার আবাদি জমি নিয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদের সাথে একই এলাকার আতিকুল ও নূরলদের দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। গতকাল বিরোধপূর্ণ জমির ধান কাটতে উভয় পক্ষ লোকজন ক্ষেতের পাশে জমায়েত হন। পরে উভয়ের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত টংভাঙ্গা ইউপি সদস্য আব্দুল হামিদ বলেন, আমার জমিতে আমি ধান আবাদ করেছি। সেই ধান কেটে জমিতে শুকাতে দিয়েছি। সেই ধান নিয়ে আসার আগেই আতিকুল নুরলরা দলবলে লাঠি সোঠা নিয়ে এসে ধান তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাঁধা দিলে তারা অতর্কিত ভাবে হামলা করে। আমি ও আমার ছেলেসহ আরো তিনজন আহত হই। নূরলের শ্যালক হাফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বোনজামাই এই জমি আগে থেকে ভোগ করে আসছে। মেম্বর হামিদ জোরপূর্বক জমি নিজেদের দাবি করছে। আজকে আমরা ধান তুলতে আসলে তারা এসে আমাদের বাধা দেয়। এতে সংঘর্ষ বাধে। হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আনোয়ারুল হক বলেন, আহত ১১ জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। হাতীবান্ধা থানার ওস মাহমুদুন্নবী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।