স্টশনে যাত্রা বিরতি দেয়ার আগে ‘ব্রেক ফেল’ করে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন। এতে প্ল্যাটফর্মে না থেমে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে থামে ট্রেনটি। এতে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলো শতাধিক যাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী ডোমার রেল স্টেশন গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায়। স্টেশন সূত্রে জানা যায়, ‘চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ট্রেন সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটে ডোমার পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় থাকলেও কিছুক্ষণ বিলম্ব হওয়ায় ৭.৪২ মিনিটে ডোমার রেল স্টেশনে পৌঁছায়। কিন্তু দ্রুত গতিতে থাকা ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে না থেমে সামনে চলে যায়।
চিলাহাটি থেকে রায়হান আলম নামের যাত্রী বলেন, ডোমার বাজার রেলগেট অতিক্রম করার পর প্লাটফর্মে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম কিন্তু প্লাটফর্মের কাছাকাছি এসেও স্বাভাবিক গতি ছিল না ট্রেনের, এতে আমরা কয়েকজন যাত্রী একটু ভয় পাই। পরে মনে হয়েছিল ট্রেনের ড্রাইভার মনে হয় ঘুমিয়ে গেছে। পরে ট্রেনটি আনুমানিক দুই কিলোমিটার দূরে থামার পর ট্রেন থেকে নেমে পড়ি। পরে জানতে পারি ট্রেনটি ব্রেক ফেল করেছে। মনোয়ার হোসেন নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুর যাওয়ার জন্য দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিলাম। স্টেশনে মাইকিংয়ে বলা হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে এসে ট্রেনটি থামবে। ট্রেন এলো, কিন্তু থামল না। হঠাৎ অনেকে এমন দৃশ্য দেখে ভয় পেয়ে গেছে। ট্রেনের চালক আসাদুজ্জামান খান ও গার্ড হুমায়ুন কবীর খান জানান, ‘সাধারণ ব্রেক কাজ না করায় স্টেশন ছেড়ে অনেকদূর গিয়ে জরুরি ব্রেক ধরে ট্রেনটি থামানো হয়। এতোক্ষণে স্টেশন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে আসে। ডোমার রেল স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার বাবু হোসেন জানান, ‘আমরা মাইকে বরাবরের মতো ঘোষণা দিচ্ছিলাম স্টেশনের এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার কথা। কিন্তু ব্রেক ফেল হওয়ায় দুই কিলোমিটার দূরে চলে যায়। এ সময় যাত্রীদের সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। পরে ট্রেনটি পেছনে এসে যাত্রী তোলে। এরপর যাত্রী নিয়ে ট্রেনটি ৮টায় রওনা দেয়।