নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় আগাম আলু উত্তোলন শুরু করেছে কৃষকেরা কিন্তু সেই আলু স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। দামদরে সহনশীলতা থাকলেও হাত ঘুরে দেশের বিভিন্ন বাজারে সেই আলু খুচরা বাজারগুলোতে কয়েকগুণ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। ডোমারে আগাম আলু প্রথম উত্তোলন হয়েছে গত ১৯ নভেম্বর উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের গোসাইগঞ্জে। ওই গ্রামের কৃষক জুয়েল ইসলাম তিন বিঘা জমিতে রুমানা জাতের আলু চাষ করেন। তিনি জানান, আলুর ফলন এবং দাম দুটোই ভালো। খেতেই তিনি তার আলু বিক্রি করে দেন। প্রতি বিঘা জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে ২০ থেকে ২১ মণ। প্রতি মণ আলু পাইকারি দামে ৬ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন।
তবে আলুগুলো উত্তোলন করে খেতেই ট্রাকে লোড দিয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। একই এলাকার আলু চাষি জহুরুল ইসলাম ১০ বিঘা জমিতে আগাম আলু লাগিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি নতুন আলু উত্তোলন করেন। পাইকারি ১৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন জামালপুরের এক ব্যাবসায়ীর কাছে। ফলে স্থানীয় হাট বাজারে এখনো দেখা মিলছে না নতুন আলুর। গোসাইগঞ্জ এলাকার দায়িত্বে কর্মরত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লিটন মোহন্ত জানান, আগাম আলু উত্তোলন হলেও সেগুলো এখানকার স্থানীয় বাজারে সরবরাহ হচ্ছে না। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম জানান, এবারে ডোমার উপজেলায় আগাম জাতের আলু বপন করা হয়েছে ২৫০ হেক্টর জমিতে। বপন শুরু করা হয় ২১ সেপ্টেম্বর। মাত্র ৫৮ দিনেই ফসল ঘরে উঠেছে। তিনি আরো জানান, সামাজিক যোগাযোগ ম্যাধ্যমে জানতে পারেন দেশের বিভিন্ন এলাকায় নতুন আলু বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজি দরে। যাহা পাইকারি দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। এ ছাড়া ডোমার উপজেলায় এবার আলু চাষের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭৩০ হেক্টর জমিতে আলু লাগানো হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আলুখেত পরিদর্শনে আসেন উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বক্কর সাইফুল ইসলাম। এ সময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম। এ সময় তারা আলু চাষিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং আগাম ফসল উৎপাদনে উৎসাহিত করেন।