অবহেলিত ঈশ্বরদীর পশুহাট

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

ঈশ্বরদী পৌর এলাকার অরণখোলায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গের বৃহত্তম পশুর হাট। এই হাট অনেক পুরানো হওয়ায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পশু ক্রয়-বিক্রয় করার জন্য বেপারীরা এখানে আসেন। এ ছাড়া খামারি, ও গৃহস্থরা গরু কেনাবেচা করতে আসেন এই হাটে। পৌর কর্তৃপক্ষ এবছর অরণখোলা পশুর হাট ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছেন। ঈশ্বরদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর হাট ইজারা দিয়ে থাকেন। কিন্তু এই হাটে কোনো রকমের উন্নয়ন নেই। সামান্য বৃষ্টি এলে হাটের ভেতরে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যায়। গরু বিক্রি করতে আসা আবেদ আলী জানান, এই হাটে আমাদের ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। হাট মালিকেরা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। হাটে কোন চাঁদাবাজি নেই। গরু বিক্রি করে আমরা টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারি। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদায় ভরে যায়। আমাদের কাপড় চোপড় নোংরা হয়ে যায়। হাটের মধ্যে গরু রাখার জন্য কোনো সেড নেই। বৃষ্টি এলে গরু এবং আমরা নিজেরাও ভিজতে থাকি। পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা চিন্তা করে হাটে চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা নির্মাণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়। ঈশ্বরদী পশু হাটের অংশিদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমান রুনু মণ্ডল জানান, আমরা যত টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য এই হাট ইজারা নেই।

প্রতি বছর তার ১০ ভাগ টাকা হাটের জন্য খরচ করলে রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা অনেক আগেই হয়ে যেত। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ ইজারার টাকা নেয়ার পর হাটের দিকে কোনো নজর দেন না। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যায়। এ ছাড়া হাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। ঈশ্বরদী পৌরসভার সচিব জহুরুল ইসলাম জানান, ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য অরণ খোলা পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারার টাকার নয় শতাংশ ভূমি উন্নয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে যাবে।

এই নয় শতাংশ বাাদে যে অবশিষ্ট টাকা থাকবে তার ৪৫ ভাগ টাকা হাট-বাজারের উন্নয়নে খরচ করা হবে। তিনি আরো বলেন, এবছর টোল আদায়ের একটি সেড, হাটের পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া হাটের ভেতরে খোয়া এবং রাবিস দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এতে প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।