পিরোজপুরের কাউখালীতে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য জাপানি অর্থ সহায়তায় নির্মিত ব্র্যাক হাউজগুলোর অধিকাংশ ঘর এখন খালী পরে রয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় চিরাপাড়া নদীর তীরে জয়কুল গ্রামে (পেয়ারা পল্লি নামে পরিচিত) ৯০টি ব্রাক হাউস ভবনের চল্লিশটির বেশি খালি পড়ে আছে। খালি ভবনগুলোতে প্রতিবেশীরা কেউ ছাগল পালন অথবা কাঠ, খরকুটো বা অন্যান্য মালামাল রেখে নোংরা পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়- এই উপজেলায় জাপানি অর্থায়নে ভূমি ও গৃহীন পরিবারদের জন্য পাঁচটি ব্যাকহাউজ নির্মাণ করা হয়। যার একটি উপজেলায় জয়কুল গ্রামে অবস্থিত। এই ব্ল্যাক হাউসটি প্রথমে ১৯৮৮ সনে এলাকার অসহায়, দুস্থ, ভূমিহীন, গৃহহীন, নদী ভাংঙ্গনে ঘর বাড়ি ভিটামাটি হারানো ছিন্নমূল্য মানুষদের জন্য সরকারি ভাবে জাপানের অর্থায়নে ৯০টি ব্র্যাক হাউজ নির্মাণ করা হয়। সে সময় আনন্দ উৎসেবের মধ্যদিয়ে অনেক ভূমিহীন পরিবার ব্র্যাক হাউজে থাকার সুযোগ পেয়ে স্ব-আনন্দে দীর্ঘদিন বসবাস করনে। পরবর্তী সময় ঘর গুলো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কোনো কোনো ঘরের চালা উড়ে যায় আবার কোনোটা ভেঙে পড়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অন্যদিকে পবিরারে বসবাসরত ঘরগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেকই ব্র্যাক হাউজ ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। এর পর ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে সরকার আবারো জাপানী অর্থায়নে সেনাবাহিনী ইঞ্জিনিয়ার কোরের একটি চৌকস টিম তত্ত্বাবধানে ঘর গুলোকে দুই কক্ষ বিশিষ্ট পাকা ভবন নির্মাণ করে দেয়। ঘরগুলোকে আধুনিকতার সব ব্যবস্থা থাকলেও পরিবারের লোক সংখ্যা বাড়তে থাকলে দুই কক্ষ বিশিষ্ট ভবনে জাগায় সংকুলন না হলে তারা ভবন গুলো ছেড়ে অন্যত্র চলে যান বলে অনেকেই জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা জানান, কিছু ভবন খালি আছে ঠিক কিন্তু অধিকাংশ ভবনের লোকজন বসবাস করে। তবে জীবিকার জন্য অনেকে দূরে থাকায় নিয়মিত না থাকলেও মাঝে মাঝে এসে বসবাস করছে। এখানে থাকতে কেউ আগ্রহী হলে আমরা তাকে থাকার ব্যবস্থা করে দেব।