ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইআবি) প্রফেসর ড. মো. শামছুল আলম বলেছেন, সরকার উৎখাতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অসামান্য অবদান রয়েছে। গত ষোল বছরে মাদ্রাসা শিক্ষার উপর ফ্যাসিবাদী সরকার জুলুম চালিয়েছে। যোগ্যতা থাকা সত্বেওে চাকরিক্ষেত্রে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষককে শুধু ক্লাশে পাঠদানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে হবে না; শিক্ষার্থীদের চরিত্রের পূর্ণতা প্রদানে সদা সচেষ্ট থাকতে হবে। শিক্ষক মানে ক্লশে যাবে, বেতন নিবে তিনিই কী শিক্ষক না। শিক্ষক সেই ব্যক্তি যার থেকে প্রতিনিয়ত শিক্ষা গ্রহণ করা যায় তিনিই শিক্ষক। আমরা যেন আমাদের দায়িত্বকে ভুলে না যাই। গতকাল শনিবার বোরহানউদ্দিন মডেল মসজিদ মিলনায়তনে উপজেলা মাদ্রাসা পরিবার আয়োজিত ‘মাদ্রাসা শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময়’ ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপাচার্য এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। এ শিক্ষা ব্যবস্থায় সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় করে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের যে কোনো বিষয়ে পারদর্শিতা, মেধা-বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আরো বেশি সমকক্ষতা সৃষ্টি করতে হবে। এ সময় তিনি আলেমদের সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হবার আহবান জানান। বোরহানউদ্দিন কামিল মাদ্রসার অধ্যক্ষ এবি আহমদ উল্যাহ আনছারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ অলি উল্যাহ, সরকারি শেখ ফজিলাতুনন্নেছা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. ইসরাফীল, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. জিয়াউর রহমান, উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বোরহানউদ্দিন কামিল মাদ্রসার উপাধ্যক্ষ এএইচএম ওয়ালিউল্যাহ। সঞ্চালনা করেন বোরহানউদ্দিন কামিল মাদ্রসার সহকারী অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমান। অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন, বাটামারা পীর মাওলানা মুবিবুল্লাহ।