পটুয়াখালীর বাউফলে ছাত্র সমাজের বিক্ষোভের মুখে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বশির গাজীকে দ্রুত অপসারণ করেছে জেলা প্রশাসন। গতকাল সকালে তার অপসারণের দাবিতে বাউফল সরকারি কলেজ থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে ইউএনও কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন ছাত্র সমাজ। এ সময়ে সাধারন ছাত্রদের সমর্থন জানিয়ে আন্দোলন অংশগ্রহণ করে ছাত্রদল ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। ছাত্র সমাজের দাবি, ইউএনও মো. বশির গাজী একজন দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার এবং তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের দোসর। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের পাতানো নির্বাচনের ফ্যাসিবাদী দোসর দুনীতিবাজ উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন। এরপরে ৪ দফায় তার বদলীর আদেশ হলেও একটি বিশেষ মহলের হস্তক্ষেপে বারবার এই আদেশ স্থগিত হয়। সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা বশির গাজীর বদলী ও বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করলে সেই বিশেষ মহল ছাত্র প্রতিনিধিদের একাংশকে (৫জন) বিভিন্ন ভাবে ম্যানেজ করে আন্দোলন বন্ধের অপচেষ্টা করে।
আন্দোলনরত ওই একাংশ শিক্ষার্থী গত শনিবার ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জানায় আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছে এবং ফ্যাসিস্ট দোসর বশির গাজী বাউফলের জনতার পক্ষে কাজ করতে রাজি হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত আন্দোলনরত অন্যান্য শিক্ষার্থীরা প্রত্যাখ্যান করে গতকাল রোববার আন্দোলন করে। একপর্যায়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেলা ১২টার দিকে ইউএনওকে অপসারণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করলে আনন্দ মিছিলের মধ্যদিয়ে ছাত্র-সমাজের আন্দোলেন সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।