ঢাকা ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

ভুট্টা চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক

সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে লাভজনক ভুট্টা চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। বিশেষ করে মৌসুমী রোপা আমন ধান কাটার পর সেই জমিতে এ চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এতে এ অঞ্চলের কৃষকেরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এবার জেলার ৯টি উপজেলায় ১৪ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা গত মাসের শেষ দিক থেকে এ চাষাবাদ শুরু করেছে। খরচ কম ও লাভ বেশি হওয়ায় এ চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। বেশি চাষাবাদ করা হচ্ছে জেলার তাড়াশ, উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলাসহ চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে। ইতোমধ্যেই ৬ হাজার ৮০ হেক্টর জমিতে এ ভুট্টা বোপণ করা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম সাপ্তাহের দিকে এ বোপণ শেষ হবে। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, চলতি মৌসুমি রোপা আমন ধান কাটার বেশির ভাগ জমিতে আবার ভুট্টা চাষাবাদ করা হচ্ছে। বিশেষ করে ভুট্টা চাষে পরিশ্রম ও খরচ কম হওয়ায় কৃষকেরা এ চাষাবাদে ঝুকে পড়েছে। অনেক স্থানে জমিতে রশি টানিয়ে সারিবদ্ধ ভাবে উন্নতজাতের এই ভুট্টা বীজ লাগানো হয়েছে ও হচ্ছে। ধানের চেয়ে ভুট্টার ফলন ভাল এবং ধানের মূল্যের চেয়ে ভুট্টার বাজারও ভালো। ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমি থেকে ৩৯/৪০ মন ভুট্টা উৎপাদন হয়ে থাকে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সঠিক পরিচর্যায় মাত্র ৪ মাসেই জমি থেকে এ ভুট্টা উত্তলন করা যাবে। নির্ধারিত সময়ে সোনালি রংঙের ভুট্টা গাছ থেকে এ ফসল সংগ্রহ করা হয়। সেইসাথে ভুট্টা সংগ্রহের পর ওই শুকনা ভুট্টা গাছ জ্বালানি হিসেবেও বিক্রি হয়। এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, চরাঞ্চলসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এবার স্বল্প খরচে এ ভুট্টা চাষাবাদ শুরু হয়েছে। এ চাষাবাদে উৎসাহিত করার জন্য এরই মধ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে ভুট্টার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এ চাষাবাদে তাদেরকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত