ভোলার চরফ্যাশন ওসমানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে আলু আবাদের জন্য চাষ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার মাও. আব্দুল বাতেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। উপজেলার ওসমানগঞ্জ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাতা মরহুম আব্দুল লতিফ মিয়া মাদ্রাসার ভবন নির্মাণ ও খেলার মাঠের জন্য এক একর জমি দান করেন মাদ্রাসাটি ১৯৮৬ সালে এমপিওভুক্ত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাদ্রাসার সুপার আব্দুল বাতেন খেলার মাঠ নিয়ে ব্যবসা করছেন। এ মাঠে বর্ষার মৌসুমে ধান চাষ করেন সুপার। এখন আবার আলু চাষ করার জন্য ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে চাষ দিয়েছেন। শিক্ষার্থী মিরাজ ও শান্ত জানান, এলাকার স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজে পড়ুয়ারা অবসর সময়ে এই মাঠে খেলাধুলা করেন। কারণ নিয়মিত খেলাধুলা করলে শরীর ও মন ভালো থাকে। খেলাধুলা পড়ালেখারও একটি অংশ। শিক্ষার্থীরা খেলতে না পারলে তারা ডিজিটাল গেমস এবং জুয়ায় আসক্ত হতে পারেন। এতে সমাজের কিশোর, তরুণ এবং যুবকরা বিপদগামী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই আমরা মাদ্রাসার খেলার মাঠটি পুনরায় শিক্ষার্থীদের খেলার উপযোগী করে তোলার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে কেন মাদ্রাসার মাঠে এমন কাণ্ড করেছেন, তার জন্য সুপারের বিচার দাবি করেন তারা। অভিযোগের ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল বাতেন বলেন, শিক্ষার্থীরা যাতে মাঠে খেলাধুলা না করতে পারে তার জন্য ট্রাক্টর দিয়ে মাঠে চাষ দিয়েছেন। তবে আলু আবাদ করতে চাষ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষার্থীরা মাঠে খেলাধুলা করতে না পারলে মাঠ কেন রাখা হয়েছে? এমন প্রশ্নের সদোত্তর দিতে পারেননি সুপার আব্দুল বাতেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, মাদ্রাসার সুপার কোনো ভাবে প্রতিষ্ঠানের মাঠে চাষাবাদ করতে পারেন না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা যাচ্ছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।