টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিভিন্ন এলাকায় সরকারিভাবে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির আওতায় গড়ে তোলা বনায়নের গাছ চুরির মহোৎসব চলছে। বিগত কয়েকটি অর্থ বছরের লাগানো গাছের ছোট ছোট চারাগুলো এখন বৃক্ষে পরিণত হয়েছে। বনে আকাশমনি, রেইন্ট্রি, কড়ই, শিশু, অর্জুনসহ বিভিন্ন ধরনের গাছ রয়েছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীদেরকে উপকারভোগী করে বনগুলো গড়ে তোলা হয়। এখন বনগুলোতে নজর পড়েছে একাধিক চক্রের।
রাতের অন্ধকারে গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করছে তারা। এতে বন উজাড় হতে চলেছে। স্থানীয়রা বনগুলোতে পাহারা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা বন থেকে গাছ কেটে নিয়ে যান। বনের আশপাশেই তাদের বাড়ি। এদের সঙ্গে বনের কিছু উপকারভোগীও জড়িত।
শুধু তাই নয়, বন ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং বনবিভাগের কর্মীদেরও গাছ চোর চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক বনায়নে সরেজমিন গিয়ে গাছ কাটার চিহ্ন পাওয়া গেছে। উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জের রামখা, সাড়াসিয়া, বাসারচালা, ঘোনারচালা, নিশ্চিন্তপুর বন এলাকায় কিছু কিছু গাছের গোড়া থেকে কেটে নেওয়া হয়েছে।
কিছু কিছু গাছের গোড়ায় রয়েছে দা-কুড়ালের কোপ। স্থানীয়রা জানান, যে যার মতো গাছ কেটে সাবাড় করছে। প্রতিরাতেই এসব গাছ কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন স’মিলে। বনে থাকা পাহারাদার ও কমিটির লোকজনের গাছ চোর চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততা থাকার কারণে চোররা নির্বিঘ্নে গাছ কেটে নিয়ে যায় বলেও দাবি করেন তারা।
তবে এখন স্থানীয় একাধিক চক্র বন থেকে গাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে। চোরদের সঙ্গে বন ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজনের জড়িত থাকার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলার কচুয়া বিটের বন কর্মকর্তা আজিজুল হক বলেন, চুরি ঠেকাতে বনবিভাগের কর্মীদের পাহারাদার জোরদার করা হয়েছে। বনের গাছ কাটার দায়ে বেশ কিছু আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে উপজেলার বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা আমিনুর রহমান বলেন, সামাজিক বনায়ন যাতে ধ্বংস করা না হয় সে জন্য এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা হয়েছে। নিজেদের স্বার্থে এ বন রক্ষায় সবাইকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। তা না হলে ক্ষতিটা সবারই হবে জানান তিনি।