জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় অতিবৃষ্টি, বন্যা ও নানা ধরনের প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা কাটিয়ে এবার আমন ধানের ভালো ফলন হয়েছে।
আমন ধান ঘরে তুলার চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে আশায় বুক বেধে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মেলান্দহের বিভিন্ন আমন ধান চাষিরা। উপজেলা কৃষি সাব এসিস্ট্যান্ট প্ল্যান প্রোটেকশন কর্মকর্তা শাহ আলমের দেয়া তথ্যমতে এবার উপজেলায় মোট ১৭৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফসী) জাতের ধান চাষ হয়েছে ১২৫০০ হেক্টর জমিতে। যার গড় ফলন ধরা হয়েছে হেক্টর প্রতি ২.৯০ টন চাল। হাইব্রিড হয়েছে ৩৮৭৫ হেক্টর জমিতে, যার গড় ফলন ধরা হয়েছে ৩.৮৫ টন চাল। ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ৯৭৫ হেক্টর জমিতে। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের কাজাইকাটা গ্রামের কৃষক বাচ্চু মিয়া জানান, বন্যার কারণে দেড়িতে আমন ধান লাগাইছি। তবু এবার ধান খুব সুন্দর হয়েছে। নাংলা ইউনিয়নের মুন্সি নাংলা গ্রামের কৃষক গোলাম রব্বানী বলেন, এবার যদিও ধানে একটু লক্ষির গো (এক ধরনের ছত্রাক) এর আক্রমণ বেশিই। তবুও সেটা কোনো সমস্যা মনে করি না, ইনশাআল্লাহ বিঘা প্রতি ১৭-১৮ বা মণ তার বেশিই আমন ধান হবে। আমন ধানের ভালো ফলন হলেও কোনো কোনো এলাকার কৃষক কারেন্ট পোকার আক্রমণের শঙ্কা প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, আমাদের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা ধানখেত প্রতিনিয়তই সরজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক, কৃষি উপকরণ বিতরণসহ নানান পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।