গাজীপুরের কাপাসিয়ায় শীতের শুরু থেকেই পিঠা ও তার সাথে শিদ্ধ ডিম বিক্রির ধুম পড়েছে। আর এই শীতের পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। বেশিরভাগ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পিঠা কিনতে হয় পিঠা বিক্রেতাদের কাছ থেকে। আবাল বৃদ্ধ সবাই পিঠার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে গরম গরম পিঠা খাচ্ছে এ দৃশ্য এখন উপজেলার বেশিরভাগ হাট বাজারের নিয়মিত চিত্র। এখানে যেসব পিঠা বিক্রি হয় তার মধ্যে রয়েছে, চিতই পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দুই প্রকারের ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, বড়া পিঠা ইত্যাদি।
কাপাসিয়া উপজেলা রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ৬৫ কিমি. উত্তর-পূর্বে ঐতিহ্যবাহী শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীরে ১১টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে ৯৯টি ওয়ার্ড নিয়ে শালবনঘেরা ৩৫৭ বর্গ কিমি. জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। কপাসিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায়- পিঠা বিক্রির প্রায় ২০০০ স্থান রয়েছে। তার মধ্যে কাপাসিয়া সদর কাপাসিয়া বাজারে পিঠা বিক্রির সবচাইতে বড় স্থান। এ বাজারে পিঠার দোকান রয়েছে ২০টি। এর পরের স্থান টোক বাজার সেখানে পিঠার দোকান রয়েছে ১৫টি। এ ছাড়াও উপজেলার প্রতিটি ছোট বড় বিভিন্ন হাট বাজার, রাস্তার মোড়ে অসংখ্য পিঠার দোকান রয়েছে। পিঠার দামও খুব বেশি নয়, চিতই পিঠা, দুই প্রকারের ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, কুলি পিঠা, বড়া পিঠা ১০ টাকা করে আর ডিম চিতই পিঠা ৩০ টাকা। পিঠার সঙ্গে দেয়া হয় সরিষা ভর্তা, শুটকি ভর্তা অথবা খেজুরের পাটালি গুড়। এক পরিসংঙ্খানে দেখা যায় কাপাসিয়ায় প্রায় ৩ হাজারেরও অধিক পরিবার এই পিঠা বিক্রি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে। কাপাসিয়া কাঁচা বাজারে পিঠা বিক্রেতা নাজমা, থানার মোর এলাকার পিঠা বিক্রেতা ইসমাইল ও নাছরিন বলেন, তারা দৈনিক প্রায় সাড়ে তিনশ’ পিঠা বিক্রি করতে পারে এতে তাদের সংসার খুব ভালো চলছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পিঠা ক্রেতা নয়ন, সাজল ও তুহিন জানায়, শীতের পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। কষ্টের বিষয় হলো আধা ঘণ্টা ধরে সিরিয়ালে আছি। সাগর ও শহীদুল জানায়, ডিম চিতই পিঠা খুবই প্রিয় তাই তারা প্রতিদিনই বাজারে পিঠা খেতে আসে।