২০০৯ সালের তৎকালীন বিডিআর বিদ্রোহ বা পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটনায় সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তি ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে নেত্রকোণায় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্যানারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় গতকাল বুধবার এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে চাকুরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও সাজাপ্রাপ্তদের স্বজনসহ শতাধীক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। ছোট ছোট শিশুদের ‘আমার বাবা নির্দোষ, আমার বাবার চাকরি ফেরত চাই’ লেখা প্লে�কার্ড হাতে কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করতে দেখা যায়। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. আকবর হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, সৈনিক আবু নাসের সোহাগ, আব্দুল মোমেন, আসাদুল হক, জাকির হোসেন, আল আমিন, শামীম মিয়া প্রমুখ। বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি সাবেক নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে সাজা দেয়া হয়। অনেক বিডিআর জওয়ান এখনো বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে। জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো বিনাবিচারে কারাবন্দি আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানা বিডিআর ক্যান্টনমেন্টে তৎকালীন বিডিআরদের একটি গ্রুপ রহস্যজনকভাবে বিদ্রোহ ঘোষণা ও হত্যাকাণ্ড চালায়। বিদ্রোহের প্রথম দিনেই বিডিআর প্রধান মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা গুলিতে নিহত হন। বিদ্রোহের ঘটনায় ১৭ জন বেসামরিক লোকও প্রাণ হারান।