ঢাকা ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালসহ বন্দিদের মুক্তির দাবি

বিডিআর সদস্যদের চাকরি পুনর্বহালসহ বন্দিদের মুক্তির দাবি

পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেয়া ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদেও চাকরি পুনর্বহাল ও কারাবন্দিদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে গতকাল বুধবার গাইবান্ধা ডিবি রোড গানাসার্স মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাইবান্ধা জেলা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। এর আগে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

নায়েক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক সি: ভিএম আব্দুর রাজ্জাক, সিপাহী আসাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মাহফুজ আলম, ইলিয়াস হোসেন, ফিরোজা বেগম প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৯ দফা দাবিগুলো হচ্ছে ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংগঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে অ্যাখায়িত করা, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পিলখানা ঢাকাসহ সারাদেশে বিডিআর ব্যাটালিয়ন ও সেক্টরে গঠিত সব প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল, চাকরিচ্যুত সব পদবির বিডিআর সদস্যকে সব প্রকার সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পুর্নবহাল, হত্যাকাণ্ড মামলায় হাইকোর্টেও বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের সনাক্ত কল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজিডি দিবস হিসেবে ঘোষণা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত-জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যেসব নিরীহ বিডিআর সদস্যদেও নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদেও তালিকা প্রকাশ করে মৃত সব পদবির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন করা, তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা নিরীহ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করেছে তাদেরকে সনাক্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যরা যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত কারা অন্তরীন আছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতিপূর্বক মুক্ত করা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত