পিরোজপুরের কাউখালী-সড়কের স্বরূপকাঠি পিরোজপুর সড়কের কচুয়াকাঠী রাস্তার উপরে ব্যক্তি মালিকানাধীন পরিত্যাক্ত ভবনটি এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। আঞ্চলিক এই ব্যস্ততম সড়কের কচুয়াকাঠীর বেইলী ব্রিজের এপ্রোচের ঢালে মাওলানা আব্দুল হক এর পুরাতন একটি বাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় রাস্তার উপরে অবস্থিত থাকায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এমন অভিযোগ গাড়ি চালক ও এলাকাবাসীর। সড়কের উপরে এই ভবনটি থাকায় সড়কের এক পাশ থেকে অন্য পাশের কিছুই দেখা যায় না, যার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট খাট দুর্ঘটনা। এ নিয়ে এলাকাবাসী দীর্ঘদিন উপজেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে ধরণা দিলেও দীর্ঘ দুই যুগ অতিবাহিত হলেও কর্তৃপক্ষ ভবনটি অপসারণ করার কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। সড়ক বিভাগ কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, ভবনের মালিক সড়ক নির্মাণের সময় কর্তৃপক্ষ যখন জমি অধিগ্রহণ করেছিল তখন অন্যান্য ব্যক্তি মালিকরা তাদের পাওনা বুঝে নেয়। কিন্তু এই ভবন মালিক ঐ সময় সড়ক বিভাগে তার প্রাপ্য পাওনা চেয়ে কোনো আবেদন না করায় কর্তৃপক্ষ তাকে তার পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে সড়ক কর্তৃপক্ষ ঐ ভবন উচ্ছেদ করতে চাইলে তিনি আদালতে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। যারফলে দীর্ঘ বছর পরেও এই ভবনটি অপসারণ করা সম্ভব হয় নাই। ভবন মালিকের গাফিলতির কারণে শত শত মানুষের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সবকিছু হারাচ্ছে। এমনকি অনেক গাড়ি চালক এই সড়কে গাড়ি চালাতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। অটোচালক লিটন হোসেন বলেন রাস্তার প্রায় মাঝখানে বিল্ডিং থাকার কারণে আমাদের গাড়ি চালাতে খুবই সমস্যা হচ্ছে। সামনের অংশ আমরা দেখতে পাই না যার কারণে অনেক সময় দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এ সড়কে বাস ও ট্রাক ড্রাইভাররা জানান, বিল্ডিং এর কারণে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়।
এ ছাড়াও বর্তমানে ভবনটি এতটাই নড়বড়ে ও জড়াজীর্ণ হয়ে পড়েছে যে কোনো সময় ছোট খাট যে কোনো যানবাহনের আঘাতে ধসে পড়ে বড় ধরনের প্রাণহানী ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে ভবন মালিক আব্দুল হকের বাসায় গেলে তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজী হননি। এ ব্যাপারে পিরোজপুর সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ জানান, সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে সড়কের উপর থেকে বাড়িটি অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ভবন মালিকের সাথে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।