কুড়িগ্রাম জিয়া বাজারের দোকানে উচ্ছেদের নামে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় ডা. অমিত কুমার ও জাহাঙ্গীর আলম এর বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে শতাধিক ব্যবসায়ী ও দোকান মালিকরা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রাম জিয়া আদর্শ বাজার মূল সড়কে ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধন করেন ব্যবসায়ীরা। মানববন্ধন শেষে কুড়িগ্রাম পৌরসভা ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, আমরা দীর্ঘ ৪০/৪৫ বছর হতে চাল দোকান মালিকরা সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে যুগ্ম জজ আদালত-১ এর নাজির পরিচয়ধারী ব্যক্তি ও দেড় শতাধিক বহিরাগত লোকজন আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে। কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই দোকানপাট ভাঙচুর মালামাল লুটপাট করে আমাদের উচ্ছেদ করে। আমরা বাঁধা দিতে গেলে ভয়ভীতি দেখিয়ে ডা. অমিত কুমার ও জাহাঙ্গীরের লোকজন নতুন স্থাপনা কাজ শুরু করে। অথচ বছরের পর বছর ওই জায়গা পৌরসভার কাছ থেকে লীজ নিয়ে আমরা ব্যবসা করে আসছি। দীর্ঘ ৪০ বছর পর ডা. অমিত কুমার ও জাহাঙ্গীর ওই জায়গার মালিকা দাবি করলেও প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে পারে নাই। যদি প্রকৃত পক্ষে তারা যদি মালিক হয়ে থাকে তাহলে আমাদের কোনো প্রকার নোটিশ ছাড়াই এমন সন্ত্রাসী ও লুটতরাজের মাধ্যমে আমাদেরকে উচ্ছেদ করার অপচেষ্ঠা অবৈধ। তাই এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুবিচার প্রার্থনা করি।
ব্যবসায়ী মো. আব্দুস সালাম বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এমন সন্ত্রাসী অবৈধ কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে কুড়িগ্রাম পৌরসভা ও কুড়িগ্রাম থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো প্রকার আইনী সহায়তা পাইনি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক ও এই জেলার বাসিন্দা হয়েও কারোর নিকট সহায়তা পাচ্ছি না। আমরা অসহায় ও নিরুপায় হয়ে পড়েছি। অবিলম্বে আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। ডা. অমিত কুমার বসু বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। জাহাঙ্গীর আমার কর্মচারী তাকে সহযোগিতা করার কারণে আমার নামে মিথ্যা ছড়ানো হচ্ছে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আদালতের রায় ও বৈধ কাগজ সূত্রে আমি ওই জমির মালিক। অন্যায় ভাবে জমির মালিকানা দাবি করার কোনো ইখতিয়ার আমার নেই। কুড়িগ্রাম পৌর সভা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, আমরা এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ ঘটনা আদালতে মামলা চলমান আছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।