ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সোনাহাট স্থলবন্দরের ১৪৪ ধারা জারি

কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা

কমিটি গঠন নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দরে আমদানি রপ্তানি কারক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থান ও একই স্থানে সভা আহ্বান করায় অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে সোনাহাট স্থলবন্দর ও সোনাহাট বাজার এলাকায় ফৌজদারী কার্যবিধির ১৪৪ ধারা আদেশ জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত বুধবার রাত ৩টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত পত্রে এই আদেশ জারি করা হয়। জানাগেছে, গত বুধবার দুপুরে সোনাহাট স্থল বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কারক সমিতির সাধারণ সভা চলছিলো। সাধারণ সভায় পূর্বের কমিটি বিলুপ্ত করে গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন কমিটি গঠনের জন্য সিন্ধান্ত ছিলো। কিন্তু সাধারণ সভায় উপরোক্ত সিন্ধান্ত উপেক্ষা করে বিএনপির একটি অংশের নেতা ইফতেখারুল ইসলাম শ্যামাকে আহ্বায়ক করে নতুন কমিটি ঘোষণা করলে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে এঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল বৃহস্পতিবার ঐস্থলে বিএনপির দুগ্রুপ সভা আহ্বান করলে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে গত বুধবার রাতেই উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে। আদেশে বলা হয়- যেহেতু ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন সোনাহাট স্থল বন্দর এলাকায় ২৮ নভেম্বর একই স্থানে এবং একই সময়ে বিএনপির ২টি গ্রুপের মধ্যে থেকে সভা-সমাবেশ আহ্বান করা হয়েছে এবং সমাবেশ ঘিরে সমগ্র ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং এর ফলে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। তাই ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থল বন্দর দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পাথর ও কয়লা আমদানি করা হয় এবং সরকারি রাজস্ব আয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে সরকারি স্বার্থ ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেহেতু সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমি মো. গোলাম ফেরদৌস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, ভূরুঙ্গামারী, কুড়িগ্রাম আমার উপর অর্পিত ক্ষমতাবলে সমগ্র ভূরুঙ্গামারী এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা হতে রাত সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারী করলাম। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গোলাম ফেরদৌস ১৪৪ ধারা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গোটা উপজেলা বলা হলেও আসলে স্থল বন্দর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত