ঢাকা ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নীলফামারীতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

নীলফামারীতে জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের বেচাকেনা

সর্ব উত্তরের জেলা নীলফামারীতে শীত ও কুয়াশায় ছেয়ে যায় রাত থেকে সকাল পর্যন্ত। গত কয়েকদিন ধরে সকাল হলেই সীমান্তবর্তী ডিমলা, চিলাহাটিতে কুয়াশা ঠান্ডা গত কয়েকদিন ধরে পড়তে শুরু করায় জমে উঠেছে ফুটপাতে শীতের গরম পোশাকের ব্যবসা। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব স্থানে বিভিন্ন মানুষের ভিড় দেখা যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, নীলফামারী জেলা শহরের পৌর সুপার মার্কেট, নিউ মার্কেট, বড় বাজার সুপার মার্কেট মকবুল হোসেন মার্কেট, মোরাদ আলী মার্কেট, ওয়ারেস মার্কেট, এবাদত প্লাজা ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাতের ওপর ও ভ্যান গাড়িতে করে বাহারি রঙের এসব শীতবস্ত্র ক্রশ করতে এখানে মধ্যোবিত্ত শ্রেণির পাশাপাশি অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের লোকজনকে পোশাক কিনতে দেখা যাচ্ছে এসব দোকানে। বড় বাজারের ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী মোতিবুল জানায়, প্রতি বছরই নতুন নতুন সাজে পোশাকের ওপর পোশাক সাজিয়ে এভাবে তারা শীতের পোশাক বিক্রি করে আসছে। বিকাল হলেই এসব অস্থায়ী দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। গভীর রাত পর্যন্ত তাদের বেচাকেনা চলে। আর আমাদের কাছে পোশাক কিনতে নাইট কোচের যাত্রী ও নিম্ন আয়ের লোকজনই বেশি আসেন। সৈয়দপুরের ব্যবসায়ী ইমরান জানান, সাধারণত বিভিন্ন গার্মেন্টসের এক্সপোর্টের পুরনো ও পরিত্যক্ত এসব পোশাক তারা ঢাকা থেকে গাইড হিসেবে কিনে আনেন। এবং এসব পোশাকের গাইডে কখনো কখনো খুবই ভালোমানের পোশাক পাওয়া যায়, তাই অনেক উচ্চবিত্ত পরিবারের লোকজন এসব কাপড় খুজতে আসেন। নীলফামারী লন্ডা মার্কেটের সভাপতি মো, মাসুৃম আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, এ বছর দেরিতে শীত শুরু হওয়ায় বেচা-বিক্রি তেমন একটা হয়নি, তবে এখন বেচা বিক্রি বাড়ছে। তার এখানে ১৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকার শীতবস্ত্র পাওয়া যায়। পোশাক কিনতে আসা নাসরিন বানু বলেন, অল্প দামে প্রতি বছর এখান থেকে শীতের পোশাক কিনি। শুধু নিজের জন্য নয়, পরিবার ও পরিজনদের জন্যও এখানে থেকে শীতের পোশাক ক্রয় করি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত