বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  জাহিদ হাসান, (মেলান্দহ) জামালপুর

আমন ধান কাটা ও মাড়াই শেষ করেই শুরু হবে বোরো ধান লাগানোর কর্মযজ্ঞ। তারই অংশ হিসেবে বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য বীজ তলা তৈরি কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মেলান্দহের বিভিন্ন এলাকার কৃষক। উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এবার উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ৯০৪ হেক্টর জমি বীজ তলা তৈরি লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; বোরো ধানের চারা উৎপাদনের জন্য। তার মধ্যে উফশি বা উচ্চ ফলনশীল জাতের ৪৯০ হেক্টর, হাইব্রিড ৪১৪ হেক্টর জমি। এ ছাড়াও আদর্শ বীজতলা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হেক্টর জমি। উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলছিয়া গ্রামের ডাকাতিয়া বিল, খাশিমারা-রোকনাই পাড়া এলাকার মাখনা বিল, ইমামপুরের হরকা বিল এলাকাগুলোতে কৃষকদের বোরো ধানের বীজতলা তৈরির কর্ম ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মত। কেউ বীজতলায় সেচ দিচ্ছে, কেউ লাঙ্গল দিয়ে বীজতলা চাষ করছে, অনেকেই মই দিয়ে বীজতলা সমান করতেছে। কেউ আবার সনাতন পদ্ধতিতে পা অথবা জমি মাপার বাশের তৈরি মাপ কাঠি দিয়ে জমি মেপে দিচ্ছে। কেউ আবার বীজতলার আইল বা বাতুর তুলছে অতি সুনিপুণ হাতে। আবার কোন কোন চাষি অঙ্কুরিত বীজ ধানগুলো বীজতলায় ছিটাচ্ছে (বপণ করছে) পরম যত্নে। উপজেলার ঝাউগড়ার রৌমারী বিল ও নাংলা ইউনিয়নের টাকিমারি বিল এলাকাগুলোতে এমনই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেছে। বীজতলার জন্য সাধারণত এসব নিচু ও খাল বিলের জমি নির্বাচন করা হয়ে থাকে। শুষ্ক মৌসুম বা নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে এসব নিচু জমি ও বিলের পানি শুকিয়ে যায়। ঠিক তখনই শুরু হয় বীজতলা তৈরির এই মহোৎসব। কৃষকরা জানায়, আগে বীজ বপণ করতে পারলে ধানের চারা সতেজ সুন্দর হয়। আগাম বীজতলার চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দল্লাহ আল ফয়সাল বলেন, কৃষি প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মাঝে ধান বীজ বিতরণ করা হয়েছে। তা ছাড়া উপজেলায় এবার আগেই কৃষকেরা তাদের বীজতলা তৈরির কাজ শেষ করেছে।