নীলফামারীর আগাম আলুর রাজ্য কিশোরগঞ্জে আলু তুলতে ব্যস্ততায় ডুবে কৃষকেরা। আলুর চড়া দাম হওয়ায় তাদের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। কৃষি বিভাগ সূত্র মতে, চাষিরা আগাম জাতের আমন ধান কেটে সেই জমিতে আশ্বিন মাসের শুরুতে ৫৫ থেকে ৬০ দিনের উত্তোলনযোগ্য সেভেন জাতের আলুর বীজ রোপণ করে। সেই বীজের আগাম আলু তোলার ধুম শুরু হয়েছে। যার আলু যত আগে ঘরে তুলবে, সেই কৃষক তত বেশি লাভবান হবেন। আর মৌসুমের শুরুতে নতুন আলু ভোক্তার নিকট দিতে পেরে তারা আনন্দিত। বাজারে বেশি মূল্য পেয়ে দিগুণ লাভবান হয়েছেন বলে জানান কৃষকেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার রনচন্ডি কুটি পাড়া এলাকার কৃষক মতিউর জানান আগাম আলু তোলার উৎসবে মেতে উঠেছে। তিনি মাঠের আলু উত্তোলন করে মাঠে বিক্রি করছেন ৯৫ টাকা কেজি দরে। কৃষক মোকছেদুল বলেন, আশ্বিনের শুরুতে ৩ বিঘা জমিতে আমন ধান কাটার পর আগাম আলুর বীজ লাগাই। ৫৩ দিনেই আলু তুলতে শুরু করি। এবার আলুর চড়া দাম পেয়ে আমার পরিবারের মুখে হাঁসি ফুটেছে। সব খরচ বাদ দিয়ে প্রায় দ্বিগুণ লাভ হবে। একই এলাকার এছলাম বলেন, অধিক লাভের আশায় এবার আমি আগাম জাতের আলু ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। আলুর ফলন ভালো হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা পেয়েছি। আমার পরিবারের সব চাহিদা এবার মেটাতে পারবো। স্থানীয় কৃষক কুদ্দুস, আনোয়ার জানান, এরই মধ্যে কিছুকিছু জমিনের আলু তোলা শুরু হয়েছে, আর কয়েক দিনের মধ্যে উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মাঠগুলোতে আলু তোলার মহোৎসব শুরু হবে। এবার চড়া দাম হওয়ায় কৃষকদের চোখে খুশির ঝিলিক বইছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক ড. এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম আলোকিত বাংলাদেশ কে বলেন, চলতি বছর ৬ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আলুর বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী।