ঢাকা ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খানাখন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তির শেষ কবে?

খানাখন্দে ভরা সড়কে ভোগান্তির শেষ কবে?

ভোলার চরফ্যাশনের চেয়ারম্যান বাজার আঞ্চলিক সড়কের বেহাল দশা। খানাখন্দে ভরা উপজেলা চরফ্যাশন সদরে যেতে ১০ কিলোমিটার পথ লেগে যায় এক ঘণ্টা। একমাত্র সড়ক হওয়া প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ২০ গ্রামের মানুষ চলাচল করছে।

সংস্কারের অভাবে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। দেশের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ মৎস্য ঘাট উপজেলার সামরাজ মাছ ঘাট, মাইনুদ্দিন মাছ ঘাট, খেজুর গাছিয়া মাছ ঘাট, পাঁচ কপাট মাছ ঘাটসহ ছোট বড় প্রায় দশটির মত মৎস্য ঘাটের ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ঢাকার পথে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা এ আঞ্চলিক সড়ক।

ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র আমদানি-রফতানি পণ্য পরিবহনে ১০ কিলোমিটারের সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে, জরুরি অ্যাম্বুলেন্স, বাস, ট্রাকসহ কয়েক শত শত যানবাহন। এতে প্রায় দুর্ঘটনাসহ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চালক ও যাত্রীরা। পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করায় সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হয়েছে। কিছু স্থানে আবার ওঠে গেছে রোড কার্পেটিং। ফলে রাস্তায় প্রায় বিকল হচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক। নষ্ট হচ্ছে যানবাহনের যন্ত্রাংশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটি গত তিন বছর আগে একবার সংস্কার করা হলেও দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সড়কের কার্পেটিং ও বিটুমিন ওঠে যায়।

দায়সারা কাজ করে চলে যায় ঠিকাদার। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানান পথচারীরা। ট্রাক চালক জাহাঙ্গীর জানান, খুব সতর্কতার সঙ্গে মাছবাহী ট্রাক নিয়ে চলতে হয়। একটু অসতর্ক হলে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটির বেহাল দশার কারণে এ ঘাটের মাছ পরিবহন করতে আগ্রহী হচ্ছেন না চালকরা। ১০ কিলোমিটার রাস্তা ২০ মিনিটের পথ যেতে লাগে প্রায় এক ঘণ্টা। অনেক সময় ফেরি ধরতে না পারলে মাছ নিয়ে ফেরত এসে লঞ্চে পাঠাতে হয়। এতে তাদের লোকসান গুণতে হয়। এ বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি এর প্রকৌশলী মোশারেফ হোসেন বলেন, গত তিন বছর আগে সিলকোট করা হয়েছে। বরাদ্দ হয়েছে খুব শিগগিরই এ সড়কের কাজ শুরু করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত