দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ফাঁসির কাষ্ঠে দেখতে চায়

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রাঙামাটি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা মো. শাহজাহান বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ শুধু ক্ষমতার বদল চায় না, দেশের মানুষ চায় বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্রের জন্য জুলাই বিপ্লব হয়েছে। চাঁদাবাজ, লুটপাটকারীদের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশে ফেরত আসতে চাইলে দেশের মানুষ তাকে শুধুমাত্র ফাঁসির কাষ্ঠে দেখতে চায়। তা ছাড়া মানুষ তাকে আর কোথাও স্থান দিবে না। গতকাল শনিবার রাঙামাটি আল আমিন মাদ্রাসা মাঠে জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি পৌর শাখার উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মাওলানা মো. শাহজাহান বলেন, ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে এই জমিনে কেউ যদি রক্ত ঝড়ায়, সেটি হচ্ছে জামায়াতে ইসলামি। দীর্ঘ ১৬টি বছর আওয়ামী দুঃশাষনে আমরা অবরুদ্ধ ছিলাম। আমাদের সবার বাড়ি ছিল এক একটি জেলখানা। বিগত দুঃশাষনে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য করার নীল নকশায় মত্ত ছিল। ক্ষমতায় থাকতে নির্বাচনি ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছিল। রক্তের হুলিতে ক্ষমতায় থাকতে চেয়ে স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে শেখ হাসিনা। সেই ফাসিবাদ চলে গেলেও, আবারো ফিরতে চায়। যে পাহাড়সম অপরাধ তিনি করেছেন, ছিলেন বহু হতাযজ্ঞের মাস্টার মাইন্ড। তার বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের চট্টগ্রাম মহানগরের আমির, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ জামাায়াতে ইসলামি একটি ইতিহাস, এটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এই দল ক্ষমতার লোভী নয়। শেখ মুজিব এই দলটাকে নিষিদ্ধ করেছিল। ইসলামকে নির্মমভাবে আঘাত করেছে মুজিব। ৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত ইসলামকে দমিয়ে রাখা হয়েছিল। তার কন্যা শেখ হাসিনা বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দীর্ঘ ১৮ বছর জামায়াতে ইসলামিকে শেষ করে দেয়ার ইতিহাস সবার জানা। অথচ, ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস শেখ হাসিনা জামায়াতে ইসলামিকে নিষিদ্ধ করতে গিয়ে নিজেরা নিষিদ্ধ হওয়ার পথে। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির বিষয়ে বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বিগত বিএনপি জোট সরকারের সময়ে সম্পাদিত হওয়ার কথা ছিল। সন্তুু লারমা ও ভারতের বিরোধীতার কারণে তা সম্ভব হয়ে উঠেনি। পরবর্তীতে শেখ হাসিনা যে চুক্তি করেছে তা ছিল একপেশে ও বৈষম্যমূলক। যেখানে বাঙালীসহ ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জামায়াত ইমলামি একটি বৈষম্যহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ে তুলতে বদ্ধ পরিকর। রাঙামাটি পৌর জামায়াতের আমীর আব্দুস সালাম এর সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর জাফর ছাদেক, রাঙামাটি জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলীম, নায়েবে আমীর মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক মো. মনচুরুল হক, রাঙামাটি ইসলামিক সেন্টারের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোখতার আহমেদ, জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম, এলডিপি রাঙ্গামাটির সভাপতি দীপংকর দেওয়ান, জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটির সুরা সদস্য মাওলানা নুরুল আলম সিদ্দিকী, ইসলামী ছাত্র শিবির রাঙামাটি জেলার সভাপতি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির রাঙামাটি জেলার সাবেক সভাপতি অ্যাড. মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ প্রমুখ। সম্মেলনে বিভিন্ন উপজেলাসহ পৌরশহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মী যোগদেন।