ভোলায় ব্রি ধান-১০৩ জাতের বাম্পার ফলন
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
ফরহাদ হোসেন, ভোলা
ভোলায় প্রথমবারের মতো বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ব্রি ধান-১০৩ এর আবাদ করানো হয়েছে। এসব কৃষকদের খেতে এখন বাতাসে দুলছে সোনানি রঙের ধান। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পার্টনার প্রকল্পের আওতায় লালমোহনের চরছকিনা ও পশ্চিম চরউমেদের কলেজ পাড়ার প্রথমবারের মতো কৃষকরা উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ আবাদ করেছেন।
কয়েকদিনের মধ্যে এসব ধান কর্তন শুরু করবেন তারা। এ সব ধান বাজারে বীজ হিসেবে বিক্রি করা হবে। বাজারে এসব ধানের বীজ পাইকারি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং খুচরা ৮০ থেকে ৯০ টাকা করে বিক্রি করতে পারবেন কৃষকরা। চাষি মো. বাবুল, মো. সেলিম এবং শেখ সাদি বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহায়তায় চলতি আমনের মৌসুমে ২০০ শতাংশ জমিতে উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-১০৩ চাষ করেছি। কৃষি অফিস থেকে এ জন্য আমাদেরকে বিনামূল্যে ধানের বীজ, সার, কীটনাশক ও বীজ সংরক্ষণের জন্য ড্রাম দেয়া হয়েছে। এজমিতে ধানের চাষ করতে জমি চাষাবাদ, শ্রমিক ও বালাইনাশক এবং অন্যান্য খরচসহ প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো ব্যয় হয়েছে। তবে সবকিছু ঠিক থাকলে আশা করছি এই ২০০ শতাংশ জমি থেকে দেড় লাখ টাকার ধানের বীজ বিক্রি করতে পারবো। কয়েক দিনের ভেতর খেতের ধান কাটা শুরু করবে তারা। চাষি মো. নান্নু, মোস্তফা কামাল এবং কাকলি রাণী জানান, আমরাও উচ্চ ফলনশীল জাতের ব্রি ধান-১০৩ এর চাষ করেছি। তবে অতিবৃষ্টির কারণে আমাদের এলাকায় ধান আবাদ করতে কিছুটা দেরি হয়েছে। আগামী দুই সাপ্তাহর মধ্যে খেত থেকে ধান কাটা শুরু করতে পারবো বলে আশা করছি।
এ সব ধান বাজারে বীজ হিসেবে বিক্রি করবো। যার মূল্য হতে পারে অন্তত দেড় লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু হাসনাইন বলেন, এ বছর আমনের মৌসুমে ব্রি ধান- ১০৩ জাত আবাদের জন্য দুইটি ব্লকের কৃষককে বিনামূল্যে সার, বীজ, কীটনাশক এবং বীজ সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেয়া হয়েছে। প্রথমবার তারা এ ধান চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন। এসব চাষিরা এ ধান থেকে বীজ সংরক্ষণ করবেন। যার মাধ্যমে আগামীতে এ উপজেলায় উচ্চ ফলনশীল জাতের এ ধানের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।