আ.লীগ নেতা সালাহউদ্দিনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার

অবৈধ পন্থায় শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ, ভুয়া বিল ভাউচার তৈরির মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমদসহ (সিআইপি) পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মামলাটি পর্যালোচনা শেষে আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। গত রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী সাহাব উদ্দীন সাহীব। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সি আব্দুল মজিদের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান।

সালাহউদ্দিন আহমদ ছাড়াও মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন, সালাহউদ্দিন আহমদের স্ত্রী ও ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যআয়েশা সালাহউদ্দিন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা একেএম গিয়াস উদ্দীন, উপাচার্য (প্রাক্তন) গোলাম কিবরিয়া ভুঁইয়া ও প্রাক্তন সহকারী পরিচালক (অর্থ) মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরী।

মামলার বাদী লায়ন মোহাম্মদ মুজিবুর রহমান বলেন, ২০১৩ সালের ১২ জুন আমার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। পরবর্তীতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর অধীনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমোদন দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সব দপ্তর আমাকে ‘প্রতিষ্ঠাতা’ উল্লেখ সূচিপত্র ইস্যু করে। মুজিবুর রহমান বলেন, দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলাম। এরই মধ্যে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে ২০২০ সালের ২ জুন সশস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে ইউনিভার্সিটি জবরদখল ও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈধ বোর্ড অব ট্রাস্টিদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কমিটিতে পরিণত করে। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক, কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়। প্রতারণার মাধ্যমে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি, ব্যক্তিগত প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের টাকা উত্তোলনসহ নানা ধরনের দুর্নীতির আশ্রয় গ্রহণ করে।