ঢাকা ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে তিন ইউনিয়নবাসীর চলাচল

ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে তিন ইউনিয়নবাসীর চলাচল

কুমিল্লার তিতাসে হাবাতিয়া নদীর কাকিয়াখালী সেতুর বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত সেতু দিয়ে যানবাহন ও তিন ইউনিয়নের মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটি ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে যেকোনো সময় সেতুটি ধসে পরার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ১০ বছর ধরে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৬ বছর আগে ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতু’ লেখা সাইনবোর্ড স্থাপনা করা হলেও সেটি চুরি হয়ে গেছে।

সরজমিনে জানা যায়, উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের কাকিয়াখালী গ্রাম সংলগ্ন হাবাতিয়া নদীর উপর ২০০৬ সালে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। বর্ষা মৌসুমে শত শত বালুবাহী বাল্কহেড উক্ত সেতুর নিচ দিয়ে যাতায়াত করে। ফলে সেতুর মাঝের চারটি পিলারের বাল্কহেডের ধাক্কায় ঢালাই ভেঙে গিয়ে রড বাহির হয়ে গেছে। এক একটি পিলারের প্রায় ৫ থেকে ৪ ফুট পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেতুটি দিয়ে হালকা যানবাহন চলাচলের সময় কেঁপে উঠে। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীরা এপথে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।

উপজেলা প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, বালুবাহী বাঙ্কহেডের কারণে সেতুর পিলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৮ সালের শেষের দিকে উপজেলা প্রশাসন থেকে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। চলাচলে সতর্করা জারি করে সাইনবোর্ডও স্থাপন করা হয়েছিল। সেতুটি সংস্কার এবং নতুন সেতু নির্মাণের জন্য গত ৬ বছরে একাধিকবার প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল।

মজিদপুর গ্রামের তন্ময় হাসান কাজল বলেন, দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের হাসনাবাদ, বাহের চর, মজিদপুর ইউনিয়নের চর বাটেরা, নতুন বাটেরা, নন্দিরচর, দুধঘাটা, দড়িগাঁও, মধ্য সাতানী, মোহনপুর, চর মোহনপুর, জগতপুর ইউনিয়নের রায়পুর, উজিরাকান্দি, ভাটিপাড়া, কৈয়ারপাড়, যাত্রাবাড়ি, কালাইরকান্দি, সাতানী ইউনিয়নের হরিপুর, ফরিদপুর, আলমপুর, কৃষ্ণপুর, মঙ্গলকান্দির লোকজন মোহনপুর হয়ে কাকিয়াখালী সেতু দিয়ে উপজেলা সদরে যাতায়াত করছে।

মজিদপুর বাজার স্টেশনের সিএনজিচালক দেলোয়ার হোসেন জানান, মজিদপুর বাজার থেকে ৭০টি সিএনজি ও ৭০টি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাা দুধঘাটা বাজার, মোহনপুর স্টেশন, কালির বাজার ও উজিরাকান্দি বাজারে যাতায়াত করে। সেতুটি দিয়ে চলাচলের সময় নড়াচড়া করে কেঁপে উঠে। জীবিকার তাগিদে ভয় নিয়েই সেতুটি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুটি ভেঙে গেলে প্রায় ২০০ পরিবারের আয়-রোজগার বন্ধ হয়ে যাবে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, সাপোর্টিং রোলার ব্রিজ নির্মাণের আওতায় প্রস্তাব পাঠানো হয়ে ছিল। টিম এসে পরিদর্শন করে ডিজাইন কমপ্লিট করেছে। আশা করছি, অনুমোদন পেলে দ্রুত সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত