বিদ্যালয়ের সামনে আবর্জনার স্তূপ

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

তাড়াইলে বিদ্যালয়ের সামনে আবর্জনার স্তূপ কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার পুরাতন ডাক বাংলো রোড অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলের সামনেই রয়েছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। সেখান থেকে প্রতিনিয়ত দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সরেজমিনে দেখা যায়, তাড়াইল উপজেলা সদর বাজার পুরাতন ডাক বাংলো রোডে রয়েছে অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুল। তার সামনেই রয়েছে কলার আড়ত, ফার্মের মুরগীর ব্যাবসায়ীদের দোকানপাট, কাঁচামাল ব্যাবসায়ীদের দোকানপাট। কলার পাতা, কোচা-বাকল, ফার্মের মুরগীর সব বর্জ্য, বিভিন্ন নষ্ট তরিতরকারির ময়লা-আবর্জনা বিদ্যালয়ের গেইটের সামনে দীর্ঘদিন থেকে ফেলে আসছে তারা। উৎকট দুর্গন্ধ সব সহ্য করে পথচারী ও যানবাহনের যাত্রীদের ময়লা-আবর্জনার পাশ ঘেঁষে নাকে হাত বা কাপড় চেপে তাদের চলাফেরা করতে হচ্ছে। পথচারী ও শিক্ষার্থীদের চলাফেরায় গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা ঘেঁষে দিনের পর দিন বর্জ্য ফেলা হচ্ছে। দিন যত যাচ্ছে রাস্তার পাশে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ ততই বাড়ছে। অন্যদিকে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনাও সেখানে ফেলা হচ্ছে। ওইসব ময়লা-আবর্জনার অধিকাংশই পচনশীল পদার্থ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই এগুলো পঁচে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হচ্ছে। উৎকট গন্ধের কারণে ওই রাস্তার পথচারীদের চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হয়। উপজেলা সদর বাজারের সচেতন মহল ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ তাদের অভিব্যাক্তি পেশ করতে গিয়ে বলেন, ময়লার স্তুপের পাশে অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলটি হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নাকে হাত বা রুমাল চেপে চলাফেরা করছে। কারো পক্ষে নিঃশ্বাস নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সম্ভব নয়। এটি যেনো প্রতিদিনের চিত্র। এতে করে সেখানে যেমন মশা, মাছির উপদ্রব বাড়ছে, তেমনি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এতে ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে ওই এলাকার পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য। তারা আরো বলেন, স্কুলের পাশের ওই রাস্তা ঘেঁষে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ সরানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রশাসনের জন্য অতীব প্রয়োজন। অক্সফোর্ড আইডিয়াল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়টির পাশেই রয়েছে নরসুন্দা নদী। বিদ্যালয়টি উপজেলা সদর বাজারের এক কিনারে এবং নদীর পাশে থাকায় বাজারের ব্যাবসায়ীরা তাদের পণ্যের আবর্জনা এখানে স্তুপ করে রাখে। তাদের বারংবার বলার পরেও কে শুনে কার কথা। এ বিষয়ে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।