রামগঞ্জ পৌর শহরবাসীর জন্য রাস্তাঘাট ও বাসাবাড়ির আঙিনার আবর্জনা পরিষ্কার, লাইটিং ব্যবস্থাসহ বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে রামগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নানামুখী উদ্যোগ প্রশংসনীয় বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। কাগজকলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও শহরের রাস্তাঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, ময়লার ভাগাড়, পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা না থাকায় অন্ধকার গলিসহ সামান্য বৃষ্টিতে শহরের বেশিরভাগ রাস্তা হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত থাকে। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলার শিকার।
৫ আগস্টের পর দেশে বড় ধরনের পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে দায়িত্ব পান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সব দপ্তরেই হয়েছে বড় ধরনের পরিবর্তন। এরই অংশ হিসেবে রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মামুন দায়িত্ব পান পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে। দায়িত্ব পাওয়ার পর বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি। রামগঞ্জ হাজীগঞ্জ বিরেন্দ্র খালের ভাগাড় পরিস্কার, শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে ডাস্টবিন বিতরণ, শহরে পর্যাপ্ত লাইটিং ব্যবস্থা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট সংস্কারের উদ্যোগসহ পৌর পানির প্লান্ট পরিষ্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
পৌর এলাকার টামটায় স্থাপিত পানির প্লান্ট পরিষ্কারের জন্য গত দুই মাসে দুই বার পানির প্লান্টটি পরিষ্কার করা হয়। পরিষ্কার কাজ চলমান থাকা পানির প্লান্টটি গত রোববার সরজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ মামুন। এ সময় তিনি জানান, একটি পানির প্লান্টে পৌরবাসীর সম্পূর্ণ সেবা দেয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা সোনাপুর বাজার এলাকায় আরো একটি পানির প্লান্ট স্থাপনে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আশা করছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।